ঝিঙে-পটল  : : দিলীপ রায়।।

0
513

পটলডাঙ্গার বাঁক থেকে নির্দয়পুর গ্রাম হাঁটা পথে প্রায় দেড় কিলোমিটার । বড় রাস্তা বলে কিছু নেই । মাঠের ভিতর দিয়ে চাষের জমি লাগোয়া মেঠো পথ । সেই পথ দিয়েই নির্দয়পুর গ্রামের মানুষের যাতায়াত । পটলডাঙ্গার বাঁকে এলে তবেই টোটো, রিক্সা মেলে স্টেশনে বা বাস স্ট্যান্ডে পৌঁছাবার । স্টেশনের লাগোয়া সবজির বাজার সহ জামা-কাপড়, চাল-আটা, ইত্যাদির বড় ধরণের বাজার । তবে ইদানীং পটলডাঙ্গার বাঁকে নির্দয়পুর গাঁয়ের সনাতন চায়ের দোকান খুলেছে । ভালই চলছে । তার দেখাদেখি সিরাজডাঙ্গা গাঁয়ের মাসূদুল মিঞা মুদিখানার দোকান খুলে বসেছে । তার দোকানে মুদিখানার জিনিসপত্র ছাড়াও আলু, পিয়াঁজ, আদা, রসুন ইত্যাদি কাঁচা সবজি পাওয়া যায় । ফলে বিকেল বেলায় পটলডাঙ্গার বাঁকে আশে পাশের গ্রামের মানুষের জটলা চোখে পড়ার মতো ।
নির্দয়পুর গ্রামের শেষ মাথায় টিনের চালার ছোট্ট একটি ঘরে বাস করে ময়মী । ময়মীর এক ছেলে ও এক মেয়ে । বড়টা ছেলে, পটল । ছোটটা মেয়ে, ঝিঙে । পটল ও ঝিঙে সারাদিন গাঁয়ের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ায় । ছেলে মেয়ে দুটি রোগাপটকা চেহারার । ছিন্ন বসনে তাদের ঘোরাঘুরি । উশকোখুশকো মাথার চুল । মেয়ে জন্মানোর এক বছরের মাথায় যখন ময়মীর ভীষণ অসুখ, যমে মানুষে টানাটানি সেই সময় তার মরদ তাকে ফেলে রেখে সিরাজডাঙ্গার রেবেকা খাতুনের সঙ্গে নিরুদ্দেশ হয়ে যায় । আজ পর্যন্ত ময়মী তার হদিস পায়নি । সম্বল বলতে এক চিলতে মাথা গোঁজার ঠাঁই । সেটাও আবার ভগ্নদশা । টিনে অনতিবিলম্বে রঙ না করলে পরের বর্ষার সময় ঘরের ভিতর জল পড়তে বাধ্য ।
গ্রামের ভিতর তার স্বামী পরের জমিতে লাঙ্গল দিয়ে যা উপার্জন করতো তাতেই তাদের সংসার চলে যাচ্ছিলো । রেবেকা খাতুনের জন্য তার কপাল পুড়বে ঘূণাক্ষরেও ময়মী টের পায়নি । অন্যদিকে অসুখের খরচার জন্য ময়মী একেবারে নিঃস্ব । দুদিন হাসপাতালে ছিলো । কঠিন ব্যামো । শ্বাসপ্রশ্বাসে কষ্ট । মাঝে মাঝে বুকে কফ জমে । এখন শারীরিকভাবে সুস্থ, কিন্তু ভীষণ দুর্বল । শরীরে বল কম । ভারী কাজ করতে গেলে হাঁপিয়ে ওঠে । তার উপর খাওয়া-দাওয়ার তেমনি ছিরি ! খাবারই জোটে না, তার আবার ছিরি ! ময়মী আয়নার দিকে তাকিয়ে অবাক ! একি তার চেহারা ! নিজেকে দেখে সকলের অজান্তে ডুকরে ডুকরে কাঁদে । তার কতো সুন্দর চেহারার আজ কী হাল ! শরীরের হাড় গোনার মতো চেহারা । হাত পায়ে নিয়মিত তেল-জল না পড়ার জন্য ত্বক শুকিয়ে একশা । ত্বকে একটু নখের আঁচড় লাগলেই দাগ্‌ ফুটে ওঠে । শরীরের হাল অবলোকন করে ময়মীর কপালে চিন্তার ভাঁজ !
মরদ চলে যাওয়ার পর থেকেই তাদের জীবনে কষ্টের ঘনঘটা । ঠিকমতো খাবার জুটছে না । পয়সার অভাব প্রকট । ছেলে মেয়ের মুখে ভাত তুলে দিতে ময়মীর নাভিশ্বাস অবস্থা । গাঁয়ের মাঝি বাড়িতে চাকরানীর কাজ নিয়েছিলো ময়মী । সেটাও টিকলো না । কারণ এবছর বন্যার জলে চাষের জমি ডুবে যাওয়ার জন্য মাঠে বর্ষার চাষে কোনো ফসল ফলেনি । ফলে গাঁয়ের বাসিন্দাদেরও সংসারে অভাব । তাই মাঝি-গিন্নি ময়মীকে ডেকে জানিয়ে দিয়েছিলেন তাঁদের সংসারের কাজকর্মো তাঁরা নিজেরাই সামলাতে পারবেন, সুতরাং ময়মীকে এখন আর দরকার নেই ।
“মা বড্ড খিদে পেয়েছে ।“ ঝিঙে এসে ময়মীর কাছে আবদার ধরলো । বেলা তখন আড়াইটে । গালে হাত দিয়ে ময়মী বাড়ির উঠোনে বসে চোখ বুঁজে ঝিমোচ্ছিলো । ঝিঙে ঘরে ঢুকে হাড়ি কড়াই উল্টিয়ে পাল্টিয়ে দেখে কোথাও খাবার নেই । মাকে আবার এসে ঘাড় ঝাঁকি দিয়ে বললো,”প্রচন্ড খিদে মা । ভাত খেতে দাও ।“
আচমকা মেয়ের ঝাঁকুনিতে সজাগ হয়ে চিল্লিয়ে বললো, “কাজ করে খাবার জোটাতে পারিস্‌ না । আমাকে জ্বালাস্‌ ।”
পটল মাকে ঠান্ডা মাথায় আস্তে আস্তে বললো, “মা, বোন ছোটো । সে কিভাবে খাবার জোটাবে ?”
“বোন না পারুক, তুই তো মানুষের বাড়ি কাজ করে খাবার জোটাতে পারিস্‌ । স্টেশনে কতো খাবারের দোকান, সেখানে থালা বাসন মাজার কাজ নিয়ে খাবার জোটাতে পারিস্‌ । তা না ক’রে দুই ভাই-বোনে তিড়িং-বিড়িং করে লাফিয়ে পাড়া বেড়ানো ।“ ময়মী রাগের মাথায় কথাগুলো বলে রীতিমতো হাঁপাচ্ছে ।
মায়ের কথা শুনে পটল বাড়ি থেকে ছুটে বেরিয়ে গেলো । গ্রাম পার হয়ে খানিকটা দূরে গাঁয়ের দীনবন্ধু মোড়লের নারিকেল বাগানের পাশে এসে বসলো । অতঃপর তার কী করণীয় সেটাই ভাবছে । মায়ের রক্ত চক্ষুর বকুনি তাকে ভীষণ ভাবিয়ে তুললো । বাবাকে পটলা নিজের চোখে দেখেছে । মাঠ থেকে বাবা ফিরলেই তার মা গামছা ও এক বালতি জল এগিয়ে দিয়ে বলতো, হাত মুখ ধুয়ে এসো আমি জল খাবার রেডি করছি । তখনই বাবার পালটা প্রশ্ন, “ছেলেটা কী কিছু খেয়েছে ?” সেই বাবা নিজের সুখের দিকে তাকিয়ে তাদেরকে অসহায় অবস্থায় ফেলে দিয়ে উধাও । ভাবতেও তার ভীষণ কষ্ট ! কান্নায় দু-চোখ জলে ভরে গেলো । ঠিক সেই মুহূর্তে নারিকেল গাছ থেকে দুটো ঝুনো নারিকেল ধপাৎ করে গাছের নীচে পড়লো । এদিক ওদিক তাকিয়ে যখন দেখলো আশে পাশে কেউ নেই, তখন নারিকেল দুটি তুলে নিয়ে পটল সোজা বাড়ি । সে ভাবছে, এই দুটো নারিকেল বিক্রি করলে অন্তত কুড়ি টাকা আসবে । তাতে চাল কিনে পেট ভরে তারা ভাত খেতে পারবে ।
বাড়িতে এসে মাকে বললো, আমি একটু বাজারে যাচ্ছি ।
হঠাৎ বাজারে কেন ?
নারিকেল বেচতে ।
নারিকেল কোথায় পেলি ?
দীনবন্ধু মোড়লের বাগান থেকে ।
“অর্থাৎ মোড়লকে না জানিয়ে নারিকেল দুটো চুরি করেছিস্‌ । শিগ্‌গির মোড়লের বাড়ি নারিকেল দুটো ফেরত দিয়ে আয় । আমরা না খেয়ে থাকবো তবুও চুরির পয়সায় পেট ভরাবো না ।“ ময়মী চোখ গরম করে ছেলেকে ধমকালো ।
মা, বোনটা সারাদিন কিছু খায়নি । তার খাবার কী হবে ?
“পারলে, গতরে মজুর খেটে উপার্জন কর্‌ । কিন্তু কখনই বিনা পরিশ্রমে উপার্জনের কথা ভাববি না ।“ বলেই নারিকেল দুটো ব্যাগের মধ্যে ঢুকিয়ে পটলের হাতে ধরিয়ে দিলো ।
অগত্যা কাস্তে হাতে নিয়ে বের হোলো পটল । মাঠে তখন রবি শস্যেতে ভরা । জমির আইলে বড় বড় ঘাস । কাস্তে দিয়ে ঘাস কাটতে শুরু করলো । কয়েকটা জমির আইল থেকে এক বস্তা ঘাস কাটলো । ঘাসের বস্তা মাথায় নিয়ে পটল সোজা গাঁয়ের হরিনন্দন ঘোষের বাড়ি । তাজা ঘাস দেখে হরিনন্দন ঘোষ খুব খুশী । তাঁদের বাড়িতে তিনটি গাই গরু । তার মধ্যে দুটো দুগ্ধবতী গরু । ঘোষেরা জানে, ছোট করে কাটা বিচালির সাথে ঘাস মিশিয়ে দিলে গরু খুব ভাল খায় । বিশেষ করে দুধেল গাই গরুকে খাওয়াতে পারলে দুধ সুস্বাদু হয় । তাই হরিনন্দন ঘোষ পটলকে বললেন, “পাঁচ টাকা দিলে খুশী তো ?”
টাকা না কাকা, আমাকে মুড়ি দেন । বোন আর আমি খাবো ।
হরিনন্দন ঘোষ ঘর থেকে মুড়ির টিন এনে পটলের গামছায় ঢেলে দিলেন । তারপর আবার বললেন, “আর লাগবে ?”
পটল ফ্যাল ফ্যাল করে ঘোষের দিকে তাকিয়ে রইলো ।
পটলের করুণ মুখ দেখে হরিনন্দন ঘোষ বুঝতে পারলেন, “তারা ক্ষুধার্ত । তাই টিনের সমস্ত মুড়ি পটলার গামছায় ঢেলে দিলেন ।“
তখন সূর্য অস্তগামী । বোনটা তখনও ঘুমোচ্ছে । তাকে ডেকে তুলে মা ও বোন মিলে মনের আনন্দে মুড়ি খেতে লাগলো । ইতিমধ্যে ময়মী ঘরের পাশে লাগানো লঙ্কা গাছ থেকে কয়েকটা কাঁচা লঙ্কা ছিঁড়ে আনলো মুড়ির সঙ্গে খাওয়ার জন্য । কাঁচা লঙ্কা দিয়ে মুড়ি খেয়ে ঢকঢক করে জল খেয়ে তাদের কী শান্তি । বোনটার মুখে হাসি দেখতে পেয়ে পটল আড়ালে গিয়ে গামছা দিয়ে চোখের জল মুছলো । তারপর দুই ভাই বোনের মধ্যে কী সুন্দর হাসি-মস্করা ।
পরের দিন সকাল বেলায় পটল তাদের এলাকার বিলে গিয়ে হাজির । বিশাল বিল । বিলটা অনেকদিনের । সেই বিল থেকে এলাকার মানুষ অহরহ মাছ ধরে । তবে বিলে আগাছায় ভরতি । বন্যার জল ঢুকলে বরং বিলের মাছ অনেক বেরিয়ে যায় । যাই হোক পটল দেখতে পেলো দূরে জেলেরা ডিঙি নৌকা নিয়ে খেপলা জাল দিয়ে মাছ ধরছে । বিলের একদিকে প্রচুর শাপলা ও কলমি শাক । জলে নেমে পটল অনেকগুলি শাপলা তুললো, তেমনি কলমি শাক । পেছনে পেছনে তার পুচকি বোন ঝিঙে উপস্থিত । ডাঙায় বোনটা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা শাপলা এক জায়গায় গুছিয়ে রাখলো । বিলের জল থেকে উঠে পটল সমস্ত শাপলা ছোট ছোট আঁটিতে বাঁধলো । মোট দশ আঁটি । এবার দশ আঁটি শাপলা ও কলমি শাক পাঁচ আঁটি নিয়ে তারা দুজনে স্টেশন বাজারের এক কোনে গিয়ে দোকান সাজিয়ে বসলো । একজন সবজি বিক্রেতা সাইকেল চালিয়ে এসে ওদের কাছ থেকে দশ আঁটি শাপলা পাঁচ টাকা দরে পঞ্চাশ টাকায় কিনে নিলো এবং কলমি শাকের জন্য দশ টাকার বেশি দিতে চাইলো না । কিন্তু পটলা ঐদামে দিতে গররাজী । তাই তারা আরও এক ঘন্টা বসে থেকে কুড়ি টাকায় বিক্রি করলো তাদের কলমি শাক ।
এরপর বাজার থেকে চাল, ডাল ও আনুসঙ্গিক কিছু জিনিসপত্র কিনে বাড়িতে ঢুকলো । পটলার কান্ড দেখে ময়মী খুশীতে বিহ্বল । ছেলেটা ক্রমশ উপায় করতে শিখছে । ভাবতেই তার চোখে আনন্দাশ্রু ।
পরেরদিন পটলের ভীষণ জ্বর । বিলের ঠান্ডা জলে নেমে শাপলা তোলার জন্য জ্বর । জ্বরে তার হাত-পা পুড়ে যাচ্ছে । ময়মী মাথায় জল ঢেলে, কপালে জল পট্টি দিয়ে জ্বর আয়ত্বে আনে । হাসপাতালে পটলাকে ডাক্তার দেখিয়ে ঔষধ আনে । তারপর নিয়মিত ঔষধ খেতে থাকে পটল ।
গাঁয়ের ত্রিনাথ বাবুর বাড়িতে গিয়ে ত্রিনাথ গিন্নিকে ময়মী বললো, আপনারা নাকি কাজের লোক খোঁজ করছেন ?”
“খোঁজ করছি । কিন্তু আমরা তোমাকে কাজে নিতে পারবো না । কেননা তোমার প্রচন্ড হাঁচি কাশি । আমার নাতির জন্যেই মূলত কাজের লোক রাখা । সুতরাং তোমার হাঁচি কাশি আমার নাতির হতে বাধ্য । তাই তোমাকে কাজে লাগানো যাবে না ।“
বাড়ি ফিরে আবার মাথায় হাত দিয়ে বসে থাকে ময়মী । ঘরে একটুও খাবার নেই । মেয়েটা বাড়ির চারিদিকে ঘোরাঘুরি করছে । সে বেচারাও সকাল থেকে না খাওয়া । মেয়ের মুখের দিকে তাকালে ময়মী ঠিক থাকতে পারে না । কষ্টে তার চোখে জল ভরে ওঠে । তাই ময়মী আবার পাড়ায় বের হোলো যদি কোথাও কাজ জোটে । বেলা তখন তিনটে । হঠাৎ ময়মী গদাধর মন্ডলের বাড়ির সম্মুখে দাঁড়িয়ে পড়লো । গদাধর গাঁয়ের বর্ধিষ্ণু চাষী । গোলা ভরা ধান, গোয়াল ভরা গরু । চাষের জমিতে অনেক লোকজন কাজে নিয়োজিত । গৃহস্থালির জন্য গ্রামের পলাশের মা মাসকাবারি চুক্তিতে গা-গতরে খাটে । ময়মী ছুটে গিয়ে গদাধরকে বললো, “দাদা ভাতগুলি গরুকে দেবেন না । আমাকে বরং দেন, ছেলে মেয়ে সকাল থেকে না খাওয়া ।“ গদাধর তখন খাওয়া দাওয়ার পর বাড়ির অবশিষ্ট সাদা ভাতগুলি গরুকে খাওয়াতে উদ্যত । সেই মুহূর্তে খাবারগুলি নেওয়ার জন্য গদাধর মন্ডলের কাছে ময়মীর কাতর আবেদন ।
গদাধর ময়মীর দিকে তাকিয়ে বললো, “তোমার স্বামী তোমাকে ছেড়ে পালিয়েছে, তার খবর কী ?”
মাথা নীচু করে থাকে ময়মী ।
বুঝেছি, কথাটা তোমার শরমে লেগেছে । দাঁড়াও বাছা ! এইটুকু ভাতে তো তোমাদের তিনজনের পেট ভরবে না। আমি বরং আরও কিছু মুড়ি দিই ।
সেই ভাত বাড়ি আনামাত্র ঝিঙে খেতে গিয়েও না খেয়ে মাকে বললো, “দাদা বাড়ি ফিরুক, তারপর তিনজনে একসঙ্গে বসে খাবো ।“
পটল রাত্রিতে খালি হাতে বাড়ি ঢুকলো । ময়মী জিজ্ঞাসা করলো, “তুই সারাদিন কোথায় কাটালি ?”
ঠিকে কাজের সন্ধানে । তারপর এক চিলতে হাসি দিয়ে মাকে জড়িয়ে ধরে বললো, “জানো মা পটলডাঙ্গার বাঁকে আমি তালপাতা দিয়ে চালা বেঁধেছি । সেখানে চায়ের দোকান দেবো । সিরাজডাঙ্গার মাসসূদুল মিঞা আমাকে চা, চিনি, দুধের প্যাকেট, আর …।“
আর কী বাবা ?
“আর কিছু টাকা ধার দেবে দোকানের সরঞ্জাম কেনার জন্য । জানো মা, আমি চায়ের দোকান খুললে আর আমাদের অভাব থাকবে না ।“
দাদার কথা শুনে ঝিঙে হাত তালি দিয়ে লাফিয়ে উঠলো, “কী মজা ! কী মজা ! আমরা এবার রোজ ভাত খেতে পাবো ।“
অন্যদিকে শাড়ির আঁচল দিয়ে ময়মী চোখের জল মুছতে ব্যস্ত ।
—————-০—————–

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here