মাটির পুতুল ও মা শরীরের ব্যঞ্জন শব্দমালা : নিমাই জানা।

0
390

এক

ইঁটের মতো এতো গভীর কান্না কেউ কাঁদে না , আমি তাদের সব ফসিল দেহের ভেতরের দিকে যাওয়ার সময় উপুড় হয়ে দেখি তাদের নিরালম্ব হেঁটে যাওয়া । বাবলা পাতার সহবাসের মতো এমন গোপনীয়তা কেউ রাখতে পারেনা , তার মাথায় এক ঝাঁক জ্বালানি ভর্তি গোলাপি চুরিদার অথবা লম্ব বৃত্তাকার বেদনা দগ্ধ তিনটি আকাশের পর্বমধ্য লিখেছেন কেউ কেউ । এই গোপন অন্ধকারে নদীটির দেহ ভাঙতে ভাঙতে একমুখী স্তন সমগ্রের নদীপথ জমাট হয়ে গেল । না মাটি দিয়ে তৈরি নরম মাটির কোন দ্রাব্যতা থাকতে নেই অথচ রামায়ণ থেকে মুখ তুলে আমি কেমন একটি ঝুরঝুর মাটির গন্ধ হয়ে ভেঙে যাওয়া নরম মাটির পুতুল গড়ে চলি । আমাকে আবার মাটির পুতুল ঘরে পুতুল ভেঙে আবার কাদা মাটির রুদ্র তৈরি করি

দুই

অভাবের দিন শরীরের পাঁজরে এসে বাস করে আমার পরকীয়া আমি গোপন অন্ধকারে তার মাথায় অঙ্গুরীমালদের উঠতে দেখি , পাখি গান গায় , নদী সেতার বাজায় , আর আমি একটি দোকানের অ্যালুমিনিয়াম সিটের উপর এশিয়ান পেইন্টসের প্রলেপ দিয়ে হাজারো শব্দদ্বীপের সাইনবোর্ড তৈরি করে চলি, কোন পারিশ্রমিক অবকাশ আর ঢেউ পেঁচানো রাতের অন্ধকারে একাকী হৃদরোগী হয়ে শুয়ে থাকি , আমার স্টারনামে ভীষণ ব্যথা করে । রাতে চাঁদের শরীরে উঠতে গিয়ে দেখি একটি হলুদ গামছা অথবা নিরন্ন শীতকাল , আমি ধোঁয়ার এক পক্ষকাল গায়ে মেখে নিতে পারি । আমি কোন মায়ের জন্য অন্ধকারের গোপনীয়তা নিয়ে এই গভীর কাব্যময়তা ভাঙতে ভাঙতে নিজের শরীরকেই সন্ধি বিচ্ছেদ করি ।

তিন

রাত্রির থেকে বড় এত রহস্যময় কবিতা কখনো নেই জেনে ফেলি

আমি রাতের অন্ধকারে একগুচ্ছ ক্লোরামফেনিকল , আটিভান   ওয়ান এমজি , রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস , দুর্গা মেডিক্যাল দোকান থেকে ফিরে আসি আমার ইন্ডেক্স ফিংগারের অসুখ নিয়ে । গভীর রাত্রি সব অসুখেরা পাড়ি জমায় আমার বিছানার দিকে । আমি কোন মৃত্যুকালীন কবিতা লিখতে ভয় করি এখন  ।  মধ্যরাত্রিতে চাঁদের মত আমিও উপুড় মুখে বসে থাকি মায়ের ছেঁড়া বিছানার মাথার দিকে । আমি কিভাবে কনিষ্কের কাটা মুন্ডু হয়ে যাই । মাকে আধখানা সরবিট্রেট , আমলোডিফিন ফাইভ এমজি আর কিছু রক্ততঞ্চন বিরোধী ঔষধ ইকোস্প্রিন এ বি ৭৫ খাইয়ে ফিরে আসি শীতল বিছানার দিকে । ক্রমশ মা সেরে ওঠে রাত্রির জন্য । আমি প্রতিটি গাছের উপরে সমান্তরাল গোপন অন্ধকারে হেঁটে একাকীত্বের মূর্ছনা ভাঙচুর করে নক্ষত্রেরা।

চার

পড়ার টেবিলের উপর আমার যৌন ও সুগন্ধময় বগলের অন্তর্বাস থাকে কেউ কেউ রাস্তা ধরে আজীবন আজীবক হয়ে গেছে , অন্ধক তুমি কতোবার কাছে টেনে নাও সতী মায়ের পরকীয়া । পরকীয়া করতে ভালোবাসো লাগে তোমার ।  এক গোলাপি সমুদ্র তোমার পায়ের কাছে কামড়ে দেয় কর্কটক্রান্তির শীতকাল । চেয়ে দেখো চাঁদ এক লক্ষ শ্রমিকেরা মাটির পুতুল তৈরি করছে মাটির পুতুলের তলায় । এই সন্ধ্যাকালে রামকৃষ্ণপুর অথবা সারদা ইউনিয়নের জেলেরা পড়ে ফেলছে আমাদের জীবাশ্ম পরবর্তী সময় । পুরুষ কথা এই কালিদহ অথবা, নিশ্চিন্তপুরে এলেই মনে হয় । নিশ্চিন্তপুরের কথা মনে হয় কারণ আমি এক মায়োসিস নারীদের দেখি যারা মাথায় জীবাশ্ম ভর্তি মৃতদেহ নিয়ে হাঁটছে নদীর কিনারা ধরে । নদীয়ার বিষ্ণুপ্রিয়া নারীদের শরীরে পরস্পর বিপরীত সম্পর্কের সহাবস্থান বোঝে ।

পাঁচ

আমি এখন যান্ত্রিক যানবাহনের ওপর বসে থেকে সব গণিত ,
পরিমিতির উষ্ণীষ দীর্ঘতর একটি সন্ধ্যা নেমে আসছে । আমি স্তনাগ্র থেকে বের করে আনি ড্রোটাভেরিন ছায়াপথ । সব বাবলার হলুদ ফুল তাদের নিয়ে এক নিমের ব্রহ্মাণী  মহাপ্রভু বিদীর্ণ করে ফেলছেন । আমাদের না বিপদেরা পারোলৌকিক অন্তর্বাসে গোপন স্থিরতার পাথর ভেঙে ভেঙে কেলেঘাই জলে ভাসিয়ে দেয় মৃতদেহ  । কাঁধে নিয়ে আমাদের যাওয়া উচিত ছিল ওই দিন এক সহস্র নির্বিকল্প সমাধির আজ প্রথম দিন  । চলো একসাথে ধুলো মাখতে মাখতে সব দশমিক হয়ে যাই , আমাদের এই ছায়াপথে অহল্যা কতবার ভেঙে গেছে ব্রহ্মার পুত্রদের পরাশর উদার আকাশ । বিস্তার পড়ছেন অলীক অক্ষরেখা দিয়ে । শব্দের আকৃতির উপত্যকা ভেঙ্গে ভেঙ্গে এই লোমশ অনুর্বর ছায়াপথ ধরে নেমে আসে স্রোতধারা , আমি সকলের ঠোঁটে পালক দেখতে দেখতে আমার বাড়ি নিচে থাকা আরও একটি বাড়ির উঠোনের লম্ব দৈর্ঘ্যের পূর্বপুরুষ তেঁতুলগাছের আবারো পুনর্জন্ম হলো ।

ছয়

মৃতদেহের সব পোশাকে চতুর্দশীর রং থাকে না , আমি কেবল ১৩
অক্ষৌহিণী সেনাদের নিয়ে নেমে পড়লাম ত্রিভুজ মায়া অন্তরের দিকে । এইতো সেদিন দেখে এলাম নিজের ঠোঁটের উপর সকলের কেমন শীতকালের বর্ণনা ফুটে উঠেছে কালপুরুষের মতো । চলো একসাথে অলৌকিক সন্তান তৈরি করি ইনফার্টিলিটি , ওভিউলেশন পর্বে । আমি গোপন অন্ধকারে সব অসুখ ভুলে গিয়ে পূর্ব দিনের পাঠ পরিক্রমা করি । গণিতের কাম্য শিখন সামর্থ্য শিখে ফেলে আমাকে এক দেরাজের সিপাহী করে তুলছে , আর সঙ্গহীন উত্তুরে বাতাসে রাধাচূড়ার প্রলাপ । আমি পাশে থাকা কৃষ্ণকায় মন্দিরতলায় একটি গর্ভগৃহের কাছে বসে আমার জন্মদিন , একটি শিব চতুর্দশীর উৎসবে মেতে উঠলাম পরীদের সাথে । আমি জিভের নীললোহিত বর্ণটি তুলে ফেলছি সরল গুণিতক দিয়ে চিরদিন আমি ব্রণকে ভয় পাই , এমব্রায়োর  মতো

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here