না পারা মানেই হেরে যাওয়া নয়! নিজের জীবনের উদাহরন দিয়ে বোঝালেন ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক।

0
300

তৃণ্ময় বেরা, ঝাড়গ্রাম: না পারা মানেই হেরে যাওয়া নয়। নিজের জীবনের উদাহরন দিয়ে বোঝালেন ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক জয়সি দাশগুপ্ত। ঝাড়গ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ‘কেরিয়ার ইন সিভিল সার্ভিসে’র এক অনুষ্ঠানে তাঁর জীবনের অভিজ্ঞতা কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের জানালেন জেলাশাসক। এদিন অনুষ্ঠানের শুরুতেই তাঁর জীবনের অভিজ্ঞতার কথা পড়ুয়াদের শোনান। জেলাশাসক পড়ুয়াদের বলেন, সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার জন্য আমি প্রস্তুতি নিয়েছিলাম কলেজের স্নাতক পাশ করার পরই। বিশ্ববিদ্যালয়ে এমএসসি পড়তে পড়তে আমি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। আমি জানতাম লক্ষ লক্ষ মানুষ এই পরীক্ষায় বসে। পাব কি পাব জানি না। তবে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। সেজন্য পাশাপাশি এমএসসি করছিলাম। তারপরই জেলাশাসক পরীক্ষায় প্রথমে হেরে যাওয়ার কথা পড়ুয়াদের জানান। জেলাশাসক জানান, প্রথম দু’বার পরীক্ষায় সফল না হওয়ার পর আমি নিজে হাল ছেড়ে দিয়েছিলাম। প্রথম দু’টি ধাপে প্রিলিমিনিারি পাশ করেছিলাম। কিন্তু মূল পরীক্ষায় পাশ করতে পারিনি। তারপর আমার গাইড আমাকে সাপোর্ট দিয়েছিলেন। পাশাপাশি পরিবারের লোকজন সাপোর্ট দিয়েছিলেন। তিনবারের সময় মূল পরীক্ষায় পাশ করেছিলাম। এদিন এই ওয়েবিনার অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেছিলেন জেলাশাসক নিজেই। পাশাপাশি অতিরিক্ত জেলাশাসক ধীমান বারুই, জেলা প্রশাসনের আধিকারিক শুভব্রত মণ্ডল, রঞ্জিত কুমার দত্ত, শ্যামসুন্দর মিশ্ররা সিভিল সার্ভিস বিষয়ক আলোচনা করেন। অনুষ্ঠানে ঝাড়গ্রাম জেলার কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা অংশগ্রহন করেছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন ঝাড়গ্রাম জেলার এমপ্লয়মেন্ট অফিসার অরুনাভ দত্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা ও সিভিল সার্ভিসের পরীক্ষা যে অনেক প্রার্থক্য তা বুঝিয়ে বলে জেলাশাসক। জেলাশাসক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার জন্য কয়েকটি বিষয় পড়েই ফার্স্ট ক্লাস পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু এখানে অনেকটাই আলদা। এই পরীক্ষায় অনেক ছোট ছোট প্রশ্ন থাকে। না পারলে গোঁজামিল দিয়ে বানিয়ে লেখার সুযোগ নেই। এজন্য সংবাদপত্র পড়ার কথা বলেন জেলাশাসক। কিভাবে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে হবে তাও জানান তিনি। জেলাশাসক জানান, সময় ধরে লেখা শেষ করতে হবে। দুই থেকে তিন বছর নিয়মিত পড়তে হবে। কলেজ পড়ুয়াদের এজন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে বলেন তিনি। তিনি জানিয়ে দেন, হাল ছেড়ে দেওয়া যাবে না। ধৈর্য ধরে সঠিক ভাবে এগিয়ে গেলে সাফল্য আসবেই। পরে জেলাশাসক বলেন, ‘‘মুখ্য সচিবের নির্দেশ অনুযায়ী আমরা কলেজ পড়ুয়াদের গাইড করার জন্য এই অনুষ্ঠান করা হয়েছে। পরে আবার কি করা তা চিন্তাভাবনা করছি।’’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here