মনিরুল হক, কোচবিহার: গত বৃহস্পতিবার হাসিমারা ব্রিজ সংলগ্ন এশিয়ান হাই ওয়েতে খুন হন অন্ত সত্ত্বা মজিদা বেগম। ঘটনায় নিজে জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন মজিদা বেগমের স্বামী একরামুল হক। নাটকীয় ভাবে ঘটনার মোর অন্য দিকে ঘোরাতে ছিনতাইয়ের তত্ব খাড়া করতে চেয়েছিল একরামুল। কিন্তু ঘটনার চারদিনের মধ্যে বধূ খুনের কিনারা করে নজির গড়ল জায়গা এবং হাসিমারা ফাঁড়ির পুলিশ। একদম ফিল্মি কায়দায় প্রেমিকাকে সঙ্গে নিয়ে স্ত্রীকে খুনের ঘটনা শুনে অবাক একরামুলের পরিবার সহ প্রতিবেশী। ইতি মধ্যে প্রেমিকা সহ একরামুলকে গ্রেপ্তার করে ৭ দিনের পুলিশি হেফাজত নিয়ে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তে পুলিশ। উল্যেখ্য, মাথাভাঙ্গা ২ ব্লকের ঘোকসাডাঙ্গা থানার অন্তর্গত দ্বারিকামারি এলাকার বাসিন্দা একরামুল হক। ভুটানের বিল্ডিং ঠিকাদার একরামুল কয়েক বছরেই বিত্তবান ব্যক্তি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন এলাকায়। বৃহস্পতিবার কোন এক অছিলায় তার স্ত্রীকে নিয়ে যান জয়গা এলাকায়। জয়গা থেকে ফেরার পথে পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক রাস্তায় উঠে একরামুলের প্রেমিকা রাহেলা সুলতানা। রাহেলা সুলতানার বাড়ী মাদারিহাট এলাকায় । গাড়িটি এশিয়ান হাই ওয়ে হাসীমারা সংলগ্ন ফ্লাই ওভার নির্জন ফাঁকা জায়গায় এলে ৮ মাসের অন্ত সত্ত্বা মজিদা বেগমকে গলার নলি কেটে খুন করা হয়। এবং ঘটনার মোর অন্যদিকে ঘোরাতে নিজের পিঠেও ছুরি মেরে আহত হন একরামুল । গা শিউরে উঠা এই ঘটনার তদন্তে নামেন জয়গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুন্তল বন্দ্যোপাধ্যায় এর নেতৃত্বে পুলিশ। এবং ঘটনার চার দিনের মাথায় গোটা ঘটনা সামনে আসে। পুলিশি জেরার মুখে সাহেলা এবং একরামুল খুনের কথা স্বীকার করেছেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়। ইতি মধ্যে সাহেলা সুলতানা সহ একরামুল হককে গ্রেপ্তার করে ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতে নিয়ে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করছে পুলিশ বলে জন যায়। এ বিষয়ে আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশি জানিয়েছেন, খুনের কথা জেরায় স্বীকারোক্তি করেছেন এক্রামূল ও তাঁর প্রেমিকা মাদারিহাটের রাহেলা সুলতানা। দু’জনকেই জেরা করা হচ্ছে। এ দিকে একরামুলের বাবা মোকসেদুল হক জানান, ছেলে যে এই রকম ঘটনা ঘটাবে ভাবতেই পারছিনা। বৌমার সঙ্গে কোন দিন ঝগড়া করতেও দেখিনি । ছেলের এই ঘটনার কথা শুনে অঝোরে কেঁদে ফেললেন বাবা মোকসেদুল হক। এক প্রতিবেশী আফসার উদ্দিন মিয়া জানান, আমরা কোন দিন ভাবতে পারিনি একরামুল এ ধরনের কাজ করতে পারে এলাকায় কারো সঙ্গে কাউকে ঝগড়া পর্যন্ত করতে দেখিনি। তবে দোষী প্রমাণ হলে তার শাস্তির দাবিও রেখেছেন তিনি।