নিজস্ব সংবাদদাতাঃ-বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে সমাজকে নতুনভাবে গড়ে তুলতে, সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষকে আলোর মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনতে খুব শীঘ্রই প্রকাশিত হতে চলেছে “আলো এ স্টোরি অফ্ ডার্কনেস”। এই ছবির মূল বিষয়বস্তু হলো একটি সাদামাটা গ্রাম্য জীবনের কিছু সামাজিক বার্তা। “আলো এ স্টোরি অফ্ ডার্কনেস” ছবির মুখ্য বিষয় বস্তু একটি গ্রাম্য জীবন যেখানে, অধিকাংশ মানুষের মধ্যে আলোর দিশা পৌঁছায়নি,যারা রয়ে গেছে অন্ধকার জগতে এবং কুসংস্কারে ভর করে। সেই সমস্ত মানুষদেরকে উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত করে আলোর দিশা দেখাতে এবং বর্তমানে যে পরিবেশ দূষণ এই পরিবেশ দূষণকে কাটিয়ে তোলার জন্য সহজ উপায়ে বৃক্ষরোপণ করা, সর্বোপরি গ্রামের ছেলে-মেয়েদের উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত করে কর্মসংস্থানের পথে এগিয়ে দেওয়া, এই যে প্রয়াস তাকে সমানে রেখে সমাজ জীবনের সামাজিকতার বার্তা দিতে তৈরি হয়েছে হচ্ছে এক স্বল্প দৈর্ঘের ছবি “আলো এ স্টোরি অফ ডার্কনেস”।
এই গল্পের মুখ্য চরিত্র সুজন(নায়ক) এবং সুজন এর বিপরীত দিকে আছে বিহু(নায়িকা)। সুজন কলকাতার ছেলে। সে অনেক কষ্টে এক এনজিওতে শিক্ষকের কাজ নেয়। অর্থাৎ মানুষ গড়ার কাজ। চাকরি সূত্রে তাকে আসতে হয় এক গ্রাম্য পরিবেশে। শুরু হয় গ্রামের মানুষকে শিক্ষার আলোতে আনার কঠিন সংগ্রাম। একই সাথে গ্রামের গ্রাম্য ছেলেমেয়েদের উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত করে তাদেরকে কর্মসংস্থান করে দেওয়ার লড়াই। এইসব নিয়ে সুজন চিন্তিত। এখানে প্রশ্ন সুজন কি পারবে তার চিন্তাকে বাস্তবে প্রতিফলিত করতে?সে কি পারবে গ্রাম্য ছেলে মেয়েদের উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত করে তাদের মুখে হাসি ফোটাতে? তা জানতে হলে অবশ্যই দেখতে হবে “আলো এ স্টোরি অফ ডার্কনেস”।
এরকমই এক সামাজিক বার্তা দেওয়ার স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবি ফুটিয়ে তোলার কাজ শুরু হওয়া ঠিক মুখেই শুরু হয়ে গেছে লকডাউন। সেই কারণে শুটিংয়ের কাজ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবির পরিচালক অভিজিৎ নস্কর জানান, “আমাদের লক্ষ্য হল মানুষকে সামাজিক বার্তা দিয়ে উপযুক্ত পথে দিশা দেখানো। আর সেই প্রেক্ষাপটই তুলে ধরা হয়েচ্ছে এই স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবিতে”।তিনি এরই সাথে আশা প্রকাশ করেছেন এ ছবি সকলের কাছে সমানভাবে গ্রহণযোগ্য হবে। তিনি জানান, লকডাউন কেটে গেলে এর শুটিংয়ের কাজ শুরু হয়ে যাবে। এরই সাথে বার্তা দেন সকলেই সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন। আর হ্যাঁ, দেখতে ভুলবেন না কিন্তু “আলো এ স্টোরি অফ ডার্কনেস”।