নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ-সারা বছর কাজ করার সাথে সাথে এই কঠিন সময়ও ওয়েবস্টারের রাজ্যের বিভিন্ন টিম এর কাজ চলছেই। হঠাৎ করে কল্যাণী টিম এর মিন্টু বাবুর কাছে খবর আসে হরিজন পাড়ার বেশ কিছু মানুষের অবস্থা ভীষন করুন এই মূহুর্তে। করোনার এই আক্রমণে কাজ বন্ধ অধিকাংশ মানুষের। বেশির ভাগ মানুষ গৃহ বন্দি। আর কল্যাণী চার নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এই সম্প্রদায়ের বেশির ভাগ মানুষ জীবিকা নির্বাহ করেন বাড়ি বাড়ি পরিস্কার করে। আর এখন প্রত্যেক টা মানুষ বাইরের যে কাউকেই বাড়িতে ঢুকতে দিতে ভয় পাচ্ছেন। তাতে কোনো ভুল ও নেই। এক সাফাই কর্মীর কথায়, “পেট তো করোনা মানে না বাবু, বাড়িতে বউ বাচ্চা সব, বাচ্চার দুধ, বাড়ির সবার খাবার কি ভাবে জোগাড় করছি, সে শুধু মাত্র আমি ই জানি। সামনের দিন গুলোর কথা ভেবেই ঘুমাতে পারছি না, এরা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, একটু ভরসা পেলাম।” সত্যিই তো, ক্ষুধার্ত পেট তো লক ডাউন মানে না।
সংগঠনের পক্ষ থেকে মিন্টু দে বলেছেন,” আমরা খবর পাওয়ার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে বেশ কিছু শুকনো খাবার রেডি করে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিলাম। মানুষের পাশে দাঁড়াতে পেরে একটা মানসিক শান্তি পাই। কাল রাতে খবর টা পাওয়ার পর থেকে ঘুমাতে পারি নি, আজ একটু স্বস্তি পেলাম মানুষ গুলোর কাছে পৌঁছতে পেরে, ওদের অভাব অভিযোগ শুনতে পেয়ে, কিছুটা তো পাশে দাঁড়াতে পারলাম ।” সংগঠনের আরেকজন এক্সিকিউটিভ মেম্বার ঋত্বিক সেনগুপ্ত বলেন, ” আসলে আমরা সারা বছরই কিছু না কিছু ভাবে মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি, মানুষ তাই ভরসা করেন, নইলে হয়তো এই খবর টায় আমাদের কাছে পৌঁছত না। এবং খবর পাওয়ার সাথে সাথেই অত্যন্ত তৎপরতার সাথে মিন্টুদা ও চন্দনদার উদ্যোগে ৫৫ টি পরিবারের প্রায় ২২০ জনের জন্যে আমরা চাল, ডাল, আলু, সোয়াবিন ইত্যাদি পৌঁছে দিলাম। আগামী দিনেও আমরা ওয়েবস্টার কল্যাণীর পক্ষ থেকে এভাবেই মানুষের পাশে থাকবো।”
কল্যাণী, 18.04.2020