মহিষাদল, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- লকডাউন পক্রিয়ার জেরে কর্মহীন মানুষের পেটে পড়েছে টান। রাজ্য সরকারের নির্দেশ অনুসারে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলির মধ্য দিয়ে বিলি করা হচ্ছে চাল, ডাল, আলু সহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী। সেই মতন আজ, তেরপেখ্যা ০৪/১৪ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে থেকেও বিতরণ করা হয় সকল খাদ্যসামগ্রী।
উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাস এর জেরে গোটা দেশ জুড়ে চলছে লকডাউন পক্রিয়া। বাকি নেই রাজ্য গুলি। পশ্চিমবঙ্গ সেই লকডাউন পক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। করনা ভাইরাসের মোকাবিলায় এর চেয়ে ভালো পন্থা এই মুহুর্তে আর কিছু নেই। যে ভাবে দ্রুত ছোঁয়াচে এই মরন ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে তার থেকে মুক্তি পেতে এই লকডাউনের শৃঙ্খল। কিন্তু তা সত্বেও এখনো বিভিন্ন জায়গায় মানুষ এই বিধি নিষেধ কে তোয়াক্কা না করেই পথে ঘাটে জমায়েত হচ্ছে, বাহিরে বের হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ও আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন কে অগ্রাহ্য করার পরিনতি যে ভয়ঙ্কর হতে পারে তা অনেকেই জেনেও অসচেতন। চিন, ইতালি, আমেরিকায় করোনা ভাইরাসের ছোবলের সেই ভঙ্কর রূপ আজ গোটা বিশ্বের কাছে অজানা নয়, চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে করুন পরিনতির সেই ভয়াবহ দৃশ্য। তাই এদেশেও যাতে সেই পরিনতির স্বীকার হতে না হয় আমাদের প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী বার বার মানুষের কাছে আবেদন রেখে চলেছেন, ঘরে থাকুন, সুস্থ থাকুন অন্যকে সুস্থ থাকতে সহায়তা করুন। তাই ঘরবন্দী হয়েছে ধনী গরীব দুঃস্থ সকলেই। বন্ধ রয়েছে সকল সরকারি ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলি। কর্মহীন আজ মানুষ। কিন্তু যারা দিন আনে দিন খায় সমস্যায় পোড়েছেন বেশী তাঁরা। কিন্তু এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এগিয়ে এসেছে যেমন বিভিন্ন সমাজসেবী সংগঠনগুলি, তেমনি রাজ্য সরকারও ঘোষনা করেছে বিভিন্ন মানবিক প্রকল্প। তারই কর্মসূচি হিসেবে, বিভিন্ন বিদ্যালয় গুলির পাশাপাশি অঙ্গনওয়াড়ী সেন্টার গুলি থেকেও প্রদান করা হয় ২ কেজি করে চাল এবং ২ কেজি করে আলু, ৩০০ গ্রাম করে ডাল। সেই নির্দেশ মেনে তেরপেখ্যা ০৪/১৪ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে থেকে বিতরণ করা হয় সকল খাদ্যসামগ্রী।