সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং – পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বাদাবন জঙ্গল সুন্দরবন। আর এই সুন্দরবন দেখার জন্য সারা বছরই ভীড় জমায় দেশ- বিদেশের পর্যটকরা।বনের মধ্যে থাকে মৎস্যজীবী জেলে।পাশাপাশি চোরাচালানকারীদের অবাধ আনাগোনা। কিন্তূ করোনার প্রভাবে বর্তমানে পর্যটক ভ্রমনের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ ও বনের মধ্যে জেলেদের প্রবেশের অনুমতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আর সেই কারণেই জঙ্গলের মধ্যে নেই নৌকার বিকট শব্দ, নেই চোরাচালানকারীদের আনাগোনা।আর তাতেই যেন প্রাণ ফিরে পাচ্ছে ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী বৃহত্তম ব-দ্বীপ সুন্দরবন। দেখা মিলছে বাঘ,হরিণ, বনমোরগ, শজারু সহ অন্যান্য বন্যপ্রাণী। এছাড়াও সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী গুলিতে দেখা মিলছে কচ্ছপ, কুমির, ডলফিন সহ নানা জলজ প্রাণী। এ যেন এক নতুন সুন্দরবন।
বন বিভাগ সূত্রে জানাগেছে, বঙ্গপোসাগরের উপকূলবর্তী ছয় হাজার ১৭বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই বনে প্রায় ৪৫০ টি নদী খাল,৪০০ প্রজাতির গাছ অগাছা উদ্ভিদ দেখতে পাওয়া যায়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য গেঁওয়া, গরান,হেতাল সহ সুন্দরবনের সৌন্দর্য্যবাহী সুন্দরী গাছ ছাড়াও ২৭০প্রজাপতির পাখি ও ১২০প্রজাতির মাছ দেখতে পাওয়া যায় ।
বনদপ্তরের এক কর্তা জানিয়েছেন – মানুষের পদাচরণ না থাকায় বন্য প্রাণী ও অন্যান্য জীববৈচিত্র তাদের সাধারণ আচরণের বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছে। তিনি আরো জানিয়েছেন পর্যটক না আসার ফলে যেমন বন্য প্রাণীদের ভালো হয়েছে,তেমনই এখানকার মানুষের জীবিকাতে ও ক্ষতির মুখে পড়েছে। তবে সুন্দরবন ফিরে পেয়েছে দূষণহীন তার যৌবন। ”