“জাওয়াদ” আসছে, প্রশাসনের ঘোষণার পরেই ধান ও আলুচাষিরা সপরিবারে নামলেন মাঠে।

0
420

পশ্চিম মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:- আবহাওয়া দপ্তরের ঘোষণার পরেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং ও নোটিশের দ্বারা সকলকে জানানো হয়েছে ঝড় বৃষ্টি আসছে বলে। সদ্য অতিবর্ষণ ও বন্যার কবল থেকে বের হওয়া পশ্চিম মেদিনীপুরের চাষিরা এতে রীতিমতো আতঙ্কিত। বৃহস্পতিবার সকালে সপরিবারে সালবনি এলাকায় চাষীদের ভোর থেকেই মাঠে নামতে দেখা গিয়েছে। কেউ ধান তুলে নিচ্ছেন, কেউ মেশিনে কেটে দ্রুত উদ্ধারের চেষ্টা করছেন, কেউবা দ্রুত আলুবীজ ঢেকে দেওয়ার চেষ্টা করছেন মাঠে।

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় গড়বেতা চন্দ্রকোনা দাসপুর শালবনি এলাকাতে সবথেকে বেশি আলুর চাষ হয়ে থাকে। ধান চাষও ব্যাপকভাবে হয়ে থাকে। কিন্তু গত বর্ষায় অতিবর্ষণ, বেশ কয়েকবারের বন্যা ধান চাষিদের ব্যাপক ক্ষতি করেছে। এই পরিস্থিতিতে ধান দ্রুত তুলে আলু রোপণ এর উদ্যোগ নিয়েছিল চাষিরা। ঠিক সেই মুহূর্তেই আবহাওয়া দপ্তর ও প্রশাসনের ঘোষণা আসছে জাওয়াদ ঝড়। সম্ভব হলে এক থেকে দু দিনের মধ্যেই ধান বাড়িতে তুলে নিন। আলু রোপণ করার হলে এক সপ্তাহ পিছিয়ে দিন। জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি অজিত মাইতি বলেন-” প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ পঞ্চায়েত এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে। জনপ্রতিনিধিদের দ্বারা এলাকাতে সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে। ধান তোলা সম্ভব হলে এক দু দিনের মধ্যে তুলে নিক। আলু চাষের মত বিষয়গুলি একটু থেমে যেতে অনুরোধ করা হয়েছে কৃষকদের। না হলে ঝড়-বৃষ্টিতে ক্ষতি হবার সম্ভাবনা রয়েছে।”

তাতেই বিপদে পড়ে গিয়েছে চাষিরা। কারণ সকলেই একসঙ্গে চাষ তোলার চেষ্টা করে মজুর সংকট তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি দেখে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সালবনি এলাকাতে দেখা গিয়েছে ভোর থেকে সপরিবারে মাঠে নেমে পড়েছেন বিভিন্ন কৃষক পরিবারগুলি। কারণ আলু রোপন করার জন্য জমির মাটি তৈরি করা হয়েছিল দীর্ঘদিন ধরে। বৃষ্টি হয়ে গেলে সেই মাটি কাদা হয়ে যাবে, পিছিয়ে যাবে আলু রোপণ। তাই দ্রুত ঝড় বৃষ্টি শুরু হওয়ার আগে আলো মাটিচাপা দিতে তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে।

অনেক চাষিরা ইতিমধ্যেই মাঠের ধান বাড়িতে তুলে নিয়েছিলেন। তারা সেগুলি ঝেড়ে ধান গুছিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় মরিয়া। অনেকেই মাঠের কেটে রাখা ধান দ্রুত পরিবারের সদস্য মহিলা পুরুষ সকলকে নিয়েই বেঁধে বয়ে নিচ্ছেন। কারণ মাঠে রাখলে জল জমে পাকা ধান অংকুর হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
*বক্তব্য:- কৃষক বিভীষণ সিং*

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here