বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে আদালতে মানহানির মামলা করল তৃণমূল, নদিয়ার কৃষ্ণনগরে।

0
321

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা :- সম্প্রতি অর্থের বিনিমযয়ে সরকারি ঘর পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলে ও ঘরের সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে হতদরিদ্র যোগ্য ব্যক্তির বদলে অনৈতিকভাবে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে বিত্তশালী ব্যক্তি দের ঘর পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগে তৃণমূল ছাত্র নেতা সম্রাট পাল ও কৃষ্ণনগর উত্তর সাংগঠনিক জেলার জেলা সভাপতি তথা শিক্ষক জয়ন্ত সাহা সহ একাধিক তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে পোস্ট অফিস মোড় এলাকায় পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন কৃষ্ণনগর পৌরসভার এগারো নম্বর ওয়ার্ড সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের বেশকিছু মহিলারা। তাদের দাবি, সরকারি ঘর পাওয়ার ক্ষেত্রে অনৈতিক আর্থিক লেনদেন, স্বজনপোষণ সহ দরিদ্র অসহায় মানুষজনদের পরিবর্তে মোটা অংকের অর্থের বিনিময় বিত্তশালী ব্যক্তিদের ঘরের সুবিধা পাইয়ে সংশ্লিষ্ট তৃণমূল নেতৃত্ব। তারই পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার দুপুরে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কৃষ্ণনগর আদালতে মানহানির মামলা দায়ের করলেন নদিয়া জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা সম্রাট পাল। ছাত্র রাজনীতির মধ্য দিয়ে ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ মানুষদের মধ্যে তাঁর রাজনৈতিক স্বচ্ছ ভাবমূর্তি ও গ্রহণযোগ্যতা কে খাটো করার জন্যই এই ধরনের নোংরা রাজনীতির পথ অবলম্বন করেছে বিরোধীরা বলে তার বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ কার্যত নস্যাৎ করে এই কথাই জানালেন তৃণমূল ছাত্র নেতা সম্রাট পাল। পাশাপাশি সরকারি ঘরের বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে পৌরসভার অভ্যন্তরীণ বিষয়। আর তিনি একজন ছাত্র নেতা, স্বাভাবিক নিয়মানুসারে পৌরসভার অভ্যন্তরীণ কর্মকাণ্ডে কোনোভাবেই তিনি যুক্ত হতে পারেন না বলেও দাবি করেন সম্রাট বাবু। এই বিষয়ে সম্পূর্ণ ঘটনাটি পরিকল্পিতভাবে তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। পাশাপাশি সম্পূর্ণ ঘটনাটি তৃণমূলের অন্ত কলহের বহিঃপ্রকাশ বলে দাবি করেছেন বিজেপির নদীয়া জেলা উত্তরের মিডিয়া কনভেনার সন্দীপ মজুমদার। সরকারি ঘর পাইয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে কাটমানি খাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূলেরই একাংশ বলেও দাবি করেন সন্দীপ বাবু। এছাড়াও কেন্দ্রীয় সরকারের যে কোন প্রকল্প এই রাজ্যে বাস্তবায়িত করার ক্ষেত্রে তৃণমূলের উপর থেকে নিচ তলার সব নেতারাই কাটমানি খেয়ে থাকেন বলেও দাবি করেন তিনি। যা এতদিন বিরোধী দল হিসেবে তাঁরা দাবি করেছিলেন সেটাই আজ তৃণমূলেরই অপর এক গোষ্ঠী তৃণমূল নেতাদের কর্মকাণ্ডে সীলমোহর লাগিয়ে দিল বলেও দাবি করেন সন্দীপ বাবু। এখানে বিরোধী তো বলতে বিজেপি বা অন্য কোনো রাজনৈতিক দল নয় তৃণমূলের বিরোধী তৃণমূলেরই অপর এক গোষ্ঠী বলেও কার্যত তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল কে তুলে ধরলেন বিজেপির জেলা উত্তরের মিডিয়া কনভেনার সন্দীপ মজুমদার।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here