নিজস্ব সংবাদদাতা, নদীয়া:- ডিসেম্বর মাসে ঝড় জলের উদাহরণ খুব একটা না থাকলেও 129 বছরের মধ্যে ৪০ বছর আগে ১৯৮১ সালে একবার ডিসেম্বরে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়েছিল বাংলার উপকূলে। সেবার নাম ছিল থ্রি -বি
১৯৮১-র ৫ ডিসেম্বর ৬০ মাইল (প্রায় ৯৬ কিলোমিটার) গতিবেগে ধেয়ে আসা ‘থ্রিবি’ আঘাত হেনেছিল বাংলাদেশেও। স্থলভাগে আছড়ে পড়ার পর এক সময় তার গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৫ মাইলের (১৩৬ কিলোমিটার) কাছাকাছি হয়ে গিয়েছিল। দুই বাংলা মিলে সে বার প্রাণ হারিয়েছিলেন প্রায় ২০০ জন। লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছিল উপকূল এলাকা। তবে এবারের জাওয়াদ ওড়িশা ও অন্ধ্র উপকূলের দিকেই এগিয়ে যাওয়ার কথা। তা যদি হয়, ওড়িশায় এই প্রথম ডিসেম্বরে ঘূর্ণিঝড় হবে।
সাধারণত ডিসেম্বর মাসে যে সমস্ত ঘূর্ণিঝড় দানা বাঁধে বঙ্গোপসগরের বুকে, সেগুলির অভিমুখ থাকে তামিলনাড়ু অন্ধ্রপ্রদেশের দিকেই। তাই বাংলা বা ওড়িশায় এই সময় সাধারণত ঘূর্ণিঝড় হয় না। তবে এবছর ব্যতিক্রম।
আর এ বিষয়ে কৃষক থেকে মৎস্যজীবী, সাধারণ মানুষ থেকে, জল পারাবারের যাত্রী সকলের জন্যই সজাগ রয়েছে রাজ্যের বৈদ্যুতিক বিভাগ দমকল বিভাগ, জেলা পরিষদ, ব্লক, পঞ্চায়েত, পৌরসভা পর্যন্ত। সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা যায় বিভিন্ন ফ্লাড সেন্টার গুলি খোলা রাখা রয়েছে, ত্রিপল এবং ত্রাণ সামগ্রী প্রস্তুত রাখা রয়েছে, ঔষধ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী যথেষ্ট পরিমাণে মজুদ রাখা হয়েছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলার টিম এবং বিভিন্ন থানার বাড়তি নজরদারি বাড়ানো হয়েছে, খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।
তবে অযাচিত আতঙ্কিত না হওয়ার কথাও মাইক প্রচারিত হচ্ছে সতর্ক থাকাতে বলার সাথেই।