পুরুলিয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- সম্প্রতি পুরুলিয়া জেলার রঘুনাথপুর মহকুমার অন্তর্গত সাতুরি ব্লকের এক মা ও শিশু অপুষ্টি জনিত রোগে আক্রান্ত হয়। খবর পেয়ে ছুটে আসে প্রশাসন।হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও শেষ রক্ষা হয়নি মৃত্যু হয় তিন মাসের শিশুটির । এবার অপুষ্টিজনিত রোগ সংক্রান্ত বিষয়ে সকল গর্ভবতী মা এবং শিশুর মায়েদের সচেতনতা বাড়াতে তৎপর হতে দেখা গেল পুরুলিয়ার জেলাশাসক রাহুল মজুমদার কে।শনিবার পাড়া এবং সাঁতুড়ি ব্লকে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র পরিদর্শন করলেন পুরুলিয়া জেলার জেলাশাসক রাহুল মজুমদার এবং সঙ্গে ছিলেন রঘুনাথপুর মহকুমাশাসক প্রিয়দর্শিনী ভট্টাচার্য। এদিন প্রথমে পাড়া ব্লকের ভালকুড়ি গ্রামে
গুরুতর অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশুদের ওজন করলেন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা, এছাড়াও শিশুর মায়েদের হাতে ১০ টি করে হাঁস বাচ্চা তুলে দেন জেলাশাসক। আগামী দিনে হাঁসের ডিম অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের খাওয়ান সে বিষয়ে সকলকে সচেতন করলেন জেলাশাসক। এছাড়াও গর্ভবতী মায়েদের স্বাস্থ্য সমীক্ষা, গর্ভাবস্থা সম্পর্কিত তথ্য সমৃদ্ধ লিফলেট তুলে দিলেন, সঙ্গে ছিলেন আশা কর্মী ও স্বাস্থ্য কর্মীরা।গর্ভবতী মায়েদের অন্তত ৪ বার স্বাস্থ্য পরীক্ষা,এবং প্রয়োজনীয় টিকাকরণ এর বিষয়ে অবগত করলেন জেলাশাসক, তারপর তিনি সাঁতুড়ি ব্লকের অন্তর্গত রামজীবনপুর গ্রামে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে রঘুনাথপুর মহকুমাশাসক প্রিয়দর্শিনী ভট্টাচাৰ্য, সাঁতুড়ি ব্লকের ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক শুভদীপ বেরা, আশা কর্মী, স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে এলাকার সমস্ত গর্ভবতী মা এবং বাচ্চা শিশুর মায়েদের সাথে অপুষ্টিজনিত রোগ সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করেন এবং সচেতনতা বার্তা দেন। এ বিষয়ে পুরুলিয়া জেলার জেলাশাসক রাহুল মজুমদার জানিয়েছেন এটা কেবল শুধু এই দুটি ব্লকে নয় সারা জেলা জুড়ে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে আগামী ৪ ডিসেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে সারা জেলায় যত বাচ্চা শিশু রয়েছে তাদের বাড়ি বাড়ি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আইসিডিএস এর কর্মীরা তাদের বাড়িতে যাবেন তাদের ওজন নেবেন কি করে বাচ্চাকে সুস্থ রাখা যায় সে সম্পর্কে তথ্য দেবেন, এবং তার সঙ্গে সঙ্গে যারা গুরুতর অপুষ্টিতে ভুগছে তাদের মায়েদের জন্য একটা কর্মসূচি জেলায় নেওয়া হয়েছে যার নাম উত্থান, যার মাধ্যমে দশটি করে হাঁসের বাচ্চা সেই অপুষ্টিতে ভোগা শিশুর মাকে দেওয়া হবে তার সঙ্গে পেঁপে, লেবু,পেয়ারা গাছের চারা দেওয়া হবে,এবং তাদের বাড়ির সামনে একটা ছোট্ট হাপা কেটে মাছ চাষ করার ব্যবস্থা করার জন্য চিন্তাভাবনা চলছে, যাতে অপুষ্টিতে ভোগা মা ও শিশুর পুষ্টির যোগানে খামতি না হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা গেছে বাচ্চা প্রথমদিকে ঠিক থাকলেও যখন তার পরিপূরক পুষ্টির সময় আসে সেই সময় বাচ্চার খাদ্যের ক্ষেত্রে সমস্যা হয়ে থাকে,। শিশুর স্বাস্থ্যের সঙ্গে মায়ের স্বাস্থ্যের কথাও ভাবতে হয়। বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাচ্চার মায়েদের চিকিৎসার ব্যবস্থা চার থেকে ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে করা হবে।এদিন এনআরসি থেকে কর্মীরা এসে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে গর্ভবতী এবং বাচ্চা শিশুর মায়েদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল কিভাবে বাচ্চাদের জন্য সহজ প্রাচ্য খাবার কম খরচে করা যাবে।