মনিরুল হক, কোচবিহার: সার নিয়ে সমস্যা অব্যাহত থাকায় এবার মহকুমা শাসকের দ্বারস্থ হলেন দিনহাটার কৃষকরা। আজ দিনহাটা মহকুমা শাসকের দফতরের সামনে রীতিমত জমায়েত করে বিক্ষোভ দেখান সাধারণ কৃষকরা। পরে কৃষকদের একটি প্রতিনিধি দল মহকুমা শাসকের সাথে দেখা করে লিখিত ভাবে জানান, বেশ কিছুদিন ধরে সারের কালোবাজারি শুরু চলছিল। সম্প্রতি সারের দোকান থেকে স্টক শেষ বলে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে । তাই সাধারণ কৃষকরা সার পাচ্ছে না। এই অবস্থায় চাষের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হয়েছে। তাই সঠিক মূল্যে কৃষকদের সারের ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য মহকুমা শাসকের কাছে লিখিত ভাবে ওই অবেদন করা হয়েছে।
এদিন সারের দাবিতে মহকুমা শাসকের দফতরে বিক্ষোভ দেখাতে আসা এক কৃষক বলেন, “পুরসভার সিধান্তে আমরা সমস্যায়। পুরসভা সারের জন্য স্লিপ দিচ্ছে। ফলে গ্রামে গঞ্জে সারের দোকানদার স্টক নেই বলে জানিয়ে দিচ্ছেন। আমরা গ্রামের মানুষ, গ্রাম থেকে শহরে আসার ভারার যেমন প্রয়োজন হয়, তেমনি সময়ও নষ্ট হয়।”
দিনহাটা মহকুমায় সারের দাম বস্তা প্রতি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত নেওয়া হচ্ছিল বলে সম্প্রতি অভিযোগ ওঠে। ওই অভিযোগ পেয়ে স্থানীয় বিধায়ক তথা তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা কমিটির চেয়ারম্যান উদয়ন গুহ তাঁর দলীয় কর্মী সমর্থকদের নিয়ে দিনহাটা শহরের বড় বড় সারের দোকানে হানা দেন। তাঁদের কাছে স্টক জেনে নিয়ে স্লিপ ইস্যুর মাধ্যমে সঠিক দামে কৃষকদের কাছে সার বিক্রির নয়া নিয়ম চালু করেন। এই স্লিপ ইস্যুর দায়িত্ব দেওয়া হয় দিনহাটা পুরসভাকে। গত শনিবার থেকে পুরসভা স্লিপ ইস্যু শুরু করলে কৃষকদের লম্বা লাইন পড়ে যায়। এতে অনেক কৃষক লাইনে দাঁড়িয়েও স্লিপ সংগ্রহ করতে পাচ্ছেন বলে ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন। গত রবিবার স্লিপ ইস্যুকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি এতটাই বিশৃঙ্খল হয়ে ওঠে যে শেষ পর্যন্ত পুলিশ ডাকতে বাধ্য হয় পুরসভা কর্তৃপক্ষ।
এরপরেই এদিন সাধারণ কৃষকরা জমায়েত হয়ে মহকুমা শাসকের কাছে সার না মেলার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখানোয় ওই সমস্যা যে আদৌ মেটে নি, তা কিন্তু স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এবার ওই সমস্যা মেটাতে প্রশাসন না বিধায়ক কে দায়িত্ব নেন, এবং কিভাবে ওই সমস্যা মেটান, সেটাই এখন দেখার।