নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- অনিয়মিত নিয়ন্ত্রিত যান চলাচলের ফলে যানজট লেগেই থাকে শান্তিপুর রেল গেটে। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পূর্বে 34 নম্বর জাতীয় সড়ক ধাকা শহরের প্রধান এই রাস্তার দু’পাশে, বিভিন্ন দোকানের লোড-আনলোড করার জন্য দাঁড়িয়ে থাকা যানবাহনের তীব্র যানজট সৃষ্টি হয় বলেই মনে করেন একাংশ। তবে স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতি থেকে জানানো হয় বর্তমানে লোড-আনলোড এর সময়সীমা নির্দিষ্ট করা হয়েছে রাত দশটার পর এবং সকাল 7 টার আগে। তবে মূলত ট্রাফিক পুলিশ না থাকার কারণে এবং মাত্র দ এক জন যাত্রী নিয়ে রেল স্টেশনে পৌঁছাতে আসা টোটোর দৌরাত্ম্যের ফলে যানজট। তবে সকাল 10 টা থেকে দুপুর দুটো পর্যন্ত সময়ের মধ্যে একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার শান্তিপুর থানায় লিখিত আবেদন জানিয়ে ও মেলেনি। কখনো-সখনো দেখা গেলেও নিয়মিত যানবাহন নিয়ন্ত্রণের জন্য থাকেন না কেউ। বর্তমান অগ্নিমূল্য পেট্রোল এবং ডিজেল পুড়িয়ে একটু একটু করে এগোনো মোটরসাইকেল ও বিভিন্ন যানবাহন চালকরা একে অপরের সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ছেন। এক ঘন্টা ধরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন সাইকেল নিয়ে, এমন কি হেঁটেও এগোতে বা পেছাতে পারছেন না বলে জানান বিক্ষুব্ধ পথচারীরা। ইতিমধ্যে ট্রেন ঢোকার সময় হয়ে গেছে, গেট ফেলতে পারছেন না, রেল কর্মীরা। স্টেশনে পৌঁছানোর অপর একটি রাস্তায় হাঁটু সমান জল থাকার কারণে সেদিক থেকে যেতে পারছেন না কেউ। সাধারণ মানুষের অনেকেই অভিযোগ করলেন, স্থানীয় পৌরসভা এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেননি, এমনকি টোটো ইউনিয়নের কোন সদর্থক ভূমিকা লক্ষ্য করা যায়নি সাধারন মানুষের ভোগান্তি থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য। ট্রেন ঢোকার সময় অধিকাংশ মানুষ ট্রেন ফেল করেন বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। আজকেও ইলেকট্রিক সাপ্লাইয়ের গাড়ি, পি ডব্লিউ ডি, কর্তব্যরত পুলিশের গাড়ি, গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়া সাংবাদিকদের গাড়ি এমনকি আম্বুলেন্স পর্যন্ত আটকে থাকে তীব্র যানজটে। এত কিছু হওয়ার সত্বেও আদৌ কি টনক নড়বে প্রশাসনের ?প্রশ্ন থেকেই যায়।