নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ-ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায়, বিএসএফ অর্থাৎ ভারতের প্রথম সারির প্রতিরক্ষা সীমানার পাশাপাশি মানবতা রক্ষা করেন।মালদহের হবিবপুর ব্লকের শ্রীরামপুর অঞ্চলের কলাই বাড়ি এলাকায় ভারত বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্তে সৈন্যরা কর্মরত অবস্থায় তারকাটার কাছে জঙ্গলের মধ্যে ঝোপঝাড়ে নড়াচড়া করতে দেখে সন্দেহ হয় যায়। তখন তারা দেখতে পায় যে একজন বয়স্ক লোক লুকিয়ে পালানোর চেষ্টা করছে। এ কারণে সৈন্যরা বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী হতে পারে ভেবে তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। কিছুক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ওই ব্যক্তি মানসিকভাবে অসুস্থ এবং মৈথিলী ভাষার শব্দ ব্যবহার করছেন। আমি আমার নাম ঠিকানা বলার মতো অবস্থায় নেই, একটি শব্দ শুধু বলছে ” হয়ে উঠল। যখন এই জায়গাটি গুগলে সার্চ করা হয়, তখন এই নামে ৩টি গ্রাম পাওয়া যায়। বিহার, মধ্যপ্রদেশ ও বাংলাদেশ। প্রথমে বিহারের ওই স্থানের প্রধানের ফোন নম্বর খোঁজ করে তিনি জানান, এই ব্যক্তির নাম মহেন্দ্র সদয়, মানসিকভাবে অসুস্থ, তার স্ত্রী চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন। তার গ্রামের নাম অন্ধ্র টোলা, থানায় পাঠানো হয়েছে, জেলা মধুবনী, সেইসাথে সহকারী কমান্ড্যান্ট লোকেন্দ্র যাদব এই তথ্যটি (ছাত্রজীবনের বন্ধু) ডিএসপি আশিসের সাথে শেয়ার করেছেন, বিহার পুলিশের ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ, যিনি বর্তমানে পোস্ট করেছেন মধুবনীতে তিনি স্টেশন ইনচার্জ ও মহেন্দ্রর আত্মীয়দেরকে তাকে নিয়ে আসতে নির্দেশ দেন। মহেন্দ্রকে BSF জওয়ানরা ৩ দিন ধরে নিরাপদে রেখেছিল এবং তার যথাযথ যত্ন নেয়।আজ ৯/১২/২১ তারিখে তার ভাই লক্ষ্মী সদয় এবং ভাতিজা বিন্দা সদয়কে মহেন্দ্রের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এই মানবিক কাজে, টিম তারাশঙ্কর চ্যারিটি এনজিও, বিহার পুলিশ এবং বিএসএফ জওয়ানরা অফিসার এবং বিএসএফ-এর তথ্য ব্যাঙ্কের মধ্যে খুব ভাল সমন্বয় দেখতে পেয়েছেন। বিএসএফ জওয়ানরা সতর্ক না হলে মহেন্দ্র আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে চলে যেত, খুব কমই তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারত। ধরা পড়ার পরও বিষয়টি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করেন বাহিনীর কর্মকর্তারা।
সীমান্তে উভয় পক্ষের সঙ্গে প্রতিদিনই একজন মানসিক রোগীর সংঘর্ষ হয়। যাকে দেশের যে কোনো পুলিশ, বাহিনী, নিজ পরিবারের সদস্যরা দত্তক নিতে লজ্জা পায়।