নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- নদীয়া শান্তিপুর শহরের 12 নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত মহিশখাগী মন্দির সংলগ্ন এলাকায় বেশকিছু পথের সারমেয়দের মধ্যে তিন বছর বয়সী একটি সারমেয় সন্তান প্রসব করার কারণে আশ্রয় নেয় পাপিয়া বর্মনের বাড়িতে।
প্রতিদিনের মত গতকাল সারাদিন ওই সারমেয়র না আসার কারণ খতিয়ে দেখতে, ওই গৃহবধূ লক্ষ্য করেন ওই শরমের কোমরের একটি অংশে বড়োসড়ো আঘাতের চিহ্ন, কোমরের হাড় ভেঙে সে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় পাশের একটি ফাঁকা জায়গায় পড়ে রয়েছে । কোনভাবেই হেঁটে চলার সামর্থ্য নেই তার, এরপর পাড়ার ছেলেরাই প্রাথমিক চিকিৎসা করে ওই বাড়িতে তাদের সন্তানের কাছে নিয়ে আসে। খবর দেওয়া হয় পশুপ্রেমী সংস্থার পক্ষ থেকে রাজু দাস কে, তিনি এবং তার সহযোগীরা ওষুধ ইনজেকশন নিয়ে চিকিৎসা শুরু করেন । তিনি জানান, প্রকাশ্যে নাম জানাতে অসুবিধা থাকলেও, যিনি এই ঘৃণ্য ঘটনার সাথে জড়িত তার নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে শান্তিপুর থানায় এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রশাসন। পশুপ্রেমী ওই সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রত্যেক পাড়ায় এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে তবে সচেতন নাগরিকের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে হবে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হলেই কমবে এই ঘৃণ্য মানসিকতা। আরো একটি বিষয়ে তিনি বলেন, এসময় সারমেয়দের বাচ্চা প্রসবের উপযুক্ত সময়, পথে-প্রান্তরে জনবহুল রাস্তায় লক্ষ্যও রাখতে হবে সদ্যোজাত সারমেয়দের।