নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুর:- ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ এর প্রভাবে ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত জলদি আলু, শাক সবজি থেকে ধান চাষের। অকাল এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে মাঠের ফসল মাঠেই পড়ে পড়ে মার খাচ্ছে। মাঠের অধিকাংশ ধান গাছ এখনও মাটিতে শুয়ে রয়েছে।
শুধু আমন ধানের পাকা ক্ষেতই নয়, অনেক কৃষকেরা আবার শীতের শুরুতে বোরো ধান চাষের জন্য বীজ ফেলেছিল চারা তৈরির উদ্দেশ্যে। সেই বীজও এখন কার্যত জলের তলায়! ফলে কপালে চিন্তার ভাঁজ চাষিদের।
সারা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়েই চাষিদের হাহাকারের চিত্র ফুটে উঠেছে। এদিকে শুক্রবার থেকেই সরকারি ভাবে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশিয়াড়ী কৃষানমান্ডিতে সহায়ক মূল্যে চাষিদের কাছ থেকে ধান কেনা শুরু হয়েছে।
একদিকে এই দুর্যোগের পরে সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রয় করতে পেরে খুশি হয়েছেন চাষিরা। অন্যদিকে তাঁরা জানিয়েছেন, যদি সরকারি তরফে চাষি পিছু ধানের পরিমাণ ক্যুইন্ট্যাল প্রতি বাড়ানো যায় তাহলে এই দু:সময়ে উপকৃত হবেন এলাকার চাষিরা।
জাওয়াদ এর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর একেবারে অস্থিমজ্জা ভেঙে করুন অবস্থা এলাকার চাষিদের, এমতাবস্থায় ক্যুইন্ট্যাল প্রতি যে ৬ কিলো বাটা সরকার নেন, তা সরকারের নিকট মুকুবের আর্জি জানিয়েছেন কৃষকেরা। তাঁরা কেশিয়াড়ী ব্লকের খাদ্য সরবরাহ দপ্তরের আধিকারিক এর কাছেও তাঁদের এই দুরবস্থার কথা বর্ণনা দিয়েছেন।
খাদ্য সরবরাহ দপ্তরের আধিকারিক সৌম্যকান্তি দাস চাষিদের সমস্ত অভাব অভিযোগ শোনার পর বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে বলে তিনি চাষিদের আশ্বাস দিয়েছেন।
Home রাজ্য দক্ষিণ বাংলা কেশিয়াড়ীতে সহায়ক মূল্যে চাষিদের থেকে ধান কেনা শুরু, ক্যুইন্ট্যাল প্রতি ফ্রি বাটা...