জলপাইগুড়ি, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- একাধিক নেপাল সুপারির খোলানে অভিযান কেন্দ্রীয় সরকারের সিজিএসটি এবং সেল ট্যাক্সের আধিকারিকদের। খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে হেনস্তা সাংবাদিকদের। জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ির ঘটনা।
শুক্রবার সকাল থেকে রাতভর ধূপগুড়ি পৌর এলাকার একাধিক সুপারির খোলান এবং সুপারি ব্যাবসায়ীরবাড়িতে অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় সরকারের সিজিএসটি এবং সেল ট্যাক্সের আধিকারিকরা। রীতিমতো ৮ টি গাড়ি নিয়ে শহরের বিভিন্ন জায়গায় তারা তল্লাশি চালান। এমনকি নেপাল সুপারি ও লোকাল সুপারি ব্যবসায়ীদের সমস্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখেন তারা। ধূপগুড়ি শহরের বিবেকানন্দ পাড়া, ১০ নম্বর ওয়ার্ড পৌর অফিস পাড়া , ১ নম্বর ওয়ার্ড, ৯ নম্বর ওয়ার্ড সহ বিভিন্ন জায়গায় এই ধরনের অভিযান চালান আধিকারিকরা। যদিও কেন অভিযানে কি পাওয়া গেল বা কি ধরনের আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে সেই বিষয়ে কিন্তু মুখ খুলেননি কেউই।
এদিকে বিশ্বস্ত সূত্রে সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা জানতে পারে যে, যে আধিকারিকরা অভিযানে এসেছেন তাদের জন্য ভালোরকম খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন ব্যবসায়ীরা।
স্বাভাবিকভাবেই নেপাল সুপারি ব্যাবসায়ী বলে পরিচিত সুপারি ব্যাবসায়ীর সেই খোলানে অভিযান চালাতে আসা আধিকারিক দের খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করা হয়েছে শুনে সন্দেহ তৈরি হয়। এরপর সংবাদকর্মীরা ছুটে যান সেই খবরের সত্যতা যাচাই করতে। কিন্তু সেখানে সাংবাদিকদের ঢুকতে বাধা দেন খোলান মালিকের কর্মীরা। এমনকি সাংবাদিকরা ছবি তুলতে শুরু করলে রীতিমতো তাদেরকে ধাক্কাধাক্কি করা হয়। ছবি তুলতে বাধা দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। এমনকি অভিযান চালাতে আসা সিজিএসটি এবং সি এক্স দপ্তরের আধিকারিকদের সামনেই সাংবাদিকদের গায়ে হাত দেওয়া হয়।
যদিও এই বিষয়ে তদন্তকারী আধিকারিকদের প্রশ্ন করা হলে তারা কোন কিছু বলতে চাননি। মুখ বুজে সেখান থেকে বেরিয়ে যান আর এই নিয়েই তৈরী হয়েছে সন্দেহ। কেন সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের কোন কিছু জানালেন না আধিকারিকরা? কেন তাদের সামনে সাংবাদিকদের আক্রান্ত হতে হলো? কেন চুপ থাকলেন তারা? যদিও গোটা ঘটনায় মুখে কুলুপ এঁটেছেন আধিকারিকরা।
উল্লেখ্য ধুপগুড়ি শহরের বিবেকানন্দ পাড়া, কলেজপাড়া, ঘোষপাড়া সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে বেআইনিভাবে নেপাল সুপারি বলে পরিচিত যে সুপারি, সেই সুপারি সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ব্যবসা করা হয়। মাছের গাড়িতে, সবজির গাড়িতে করে পাচার করা হয়। প্রায় প্রতিদিন দিল্লি, নাগপুর সহ বিভিন্ন রাজ্যে পাচার করা হয় বলে অভিযোগ।সেই সব অভিযোগের কারনে এদিন আধিকারিকদের হানা বলে মনে করছেন বুদ্ধিজীবি মহল।