চিকিৎসা অথবা টিকা নিতে আসা মা দিদিদের কোলের বাচ্চা সাবলীল সিভিক ভলেন্টিয়ার এর কোলে।

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- পুলিশ সম্পর্কে প্রকাশ্যে যা কিছু আছে তা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নানান ভুলভ্রান্তি ত্রুটি-বিচ্যুতি অন্যায় প্রশ্রয় দেওয়ার খবর। কখনো-সখনো মাঝেমধ্যে দু-একটি ভালো খবর পাওয়া গেলেও তা বেশিরভাগ পদাধিকারীর কৃতিত্বের। কনস্টেবল বা সিভিক ভলেন্টিয়ার দের সম্পর্কে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আলোচিত হয়ে থাকে তা হলো, “বাঁশের চেয়ে কঞ্চি শক্ত।”
সামান্য সান্মানিকের ভিত্তিতে, বন্দুকধারী পুলিশকর্মীদের থেকেও বেশি দায়িত্ব পালন করতে হয় এই নিধিরাম সর্দারদের। মাঝে মাঝেই থমকে যাওয়া মাইনের কথা ভুলে, একদিকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অন্যদিকে সাধারণ মানুষের নানান কটুক্তি, পাড়ায় থেকেও কুনজরে বন্ধুদের এভাবেই জীবন অতিবাহিত হয় যাদের সেই সিভিক ভলেন্টিয়ার এক ভাইয়ের আন্তরিকতা ধরা পড়ল আমাদের ক্যামেরায়। শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে বিভিন্ন রোগীদের মাঝে কর্তব্যরত মিঠুন দাস কে অনেকেই চেনেন, উত্তেজিত জনসাধারণকে সম্মোহিত করতে পারে তার স্মিত হাসি এবং শান্ত ব্যবহার। কখনো নিজের হাতেই সরাচ্ছে সাইকেল কখনোবা, নিজে হাতেই রোগীর হয়ে আবেদন করে দিচ্ছেন, এমনকি শুনলে আশ্চর্য হয়ে যাবেন , টিকা নিতেই হোক বা চিকিৎসা করাতে তাদের শিশুদের চিকিৎসা কক্ষে প্রবেশ নিষেধ থাকলে নিজেই কোলে তুলে নেন বাচ্চার দায়িত্ব। কখনো লজেন্স বা মোবাইলের ছবি ভিডিও দেখিয়ে অনায়াসে সামলে দেন বেশ কিছুক্ষণ। এ ঘটনা শুধু একদিনের নয় নিত্তনৈমিত্তিক অহরহ। স্বাস্থ্যকর্মীদের নাম না জানলেও শান্তিপুরের হাসপাতালে মিঠুনের নাম সকলের মুখে মুখে। তাইতো থানার দায়িত্বে না এনে দীর্ঘ চার বছর যাবৎ তাকে শান্তিপুর হাসপাতালের কর্তব্যরত অবস্থায় রেখেছে শান্তিপুর থানা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *