প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর বাসন্তী ব্লকের সোনাখালী গ্রামের যুবক নয়নদ্বীপ স্বর আজ রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের তথ্য পরিষেবায় উপকৃত হয় একজন সফল মৎস্য ব্যবসায়ী।

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- মৎস্যজীবি নয়নদ্বীপের জীবিকাবন্ধু রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সুন্দরবনের অন্তর্গত বাসন্তী ব্লকের বাসিন্দাদের জীবন জীবিকা অনেকটাই মৎস্য চাষ, সামুদ্রিক মৎস্য সংগ্রহ এবং বনজ সম্পদ ব্যবহারের উপর নির্ভরশীল। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর বাসন্তী ব্লকের সোনাখালী গ্রামের যুবক নয়নদ্বীপ স্বর আজ রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের তথ্য পরিষেবায় উপকৃত হয় একজন সফল মৎস্য ব্যবসায়ী। কিন্তু এই যাত্রাপথ মোটেও সহজ ছিল না। তিন সদস্যের পরিবারের একমাত্র সন্তান নয়নদ্বীপ বর্তমানে স্নাতক স্তরের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। কিন্তু কোবিড এর কারণে দীর্ঘদিন ধরে যখন কলেজ বন্ধ তখন বিকল্প জীবিকার সন্ধান খুঁজতে থাকে নয়নদ্বীপ, কিন্তু বিশেষ কোনো লাভ হয় নি।
এরইমধ্যে গ্রামের এক কৃষক বন্ধুর কাছ থেকে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের জীবিকা বিকাশ কার্যক্রমের লক্ষ্যে বিভিন্ন ভার্চুয়াল প্লাটফর্মের কথা জানতে পারেন। এরপর নয়নদ্বীপ ফাউন্ডেশনের কর্মী অনিন্দ্য কুমার মন্ডলের উদ্যোগে ধারাবাহিকভাবে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন আয়োজিত মৎস্য চাষের উপর প্রশিক্ষণে উপস্থিত হয়ে ইন্ডিয়ান মেজর কার্প (IMC), যেমন কাতলা, রুহি, মৃগেলের পাশাপাশি জিওল মাছ চাষের খুঁটিনাটি গুলি জেনে নেয়। কিছুদিনের মধ্যেই পরীক্ষামূলকভাবে এক বিঘে পুকুরে উনি ১৫ হাজার টাকার মতো মাছ ছাড়েন। প্রশিক্ষণলব্ধ ধারণা ছাড়াও হেল্পলাইন টোল ফ্রি নম্বর ১৮০০ ৪১৯ ৮৮০০ এও ফোন করে ফাউন্ডেশনের রিসোর্স পার্সন দের সাথেও তথ্য বিনিময় করে ইতিমধ্যেই প্রায় ৩০ হাজার টাকার মাছ বিক্রি করেছেন নয়নদ্বীপ।
নয়নদ্বীপের কথায় ” কোবিড পরবর্তী কালে যখন আমাদের জীবিকা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তখন রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের ভার্চুয়াল ট্রেনিং থেকে আমি ভীষণভাবে উপকৃত হই, বর্তমানে মাছ চাষের খুঁটিনাটি বিষয়গুলো জানা ছাড়াও স্বল্পব্যয়ে ঘরোয়া পদ্ধতিতে মাছের পুষ্টিকর খাবার তৈরির পদ্ধতিও শিখেছি এই ট্রেনিং থেকে। রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন আজ গ্রাম বাংলার কৃষকদের কাছে প্রকৃত অর্থে জীবিকা বন্ধু “

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *