মানসিক ভারসাম্যহীন সন্তান কে আগলে বেঁচে রয়ছেন মোনারা!কিন্তু তারপর ——

0
343

সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং – প্রতিবন্ধী বছর কুড়ি বয়সের মানসিক ভারসাম্যহীন সন্তান কে আগলে রেখে বেঁচে রয়েছেন মা মোনারা সরদার। কিন্তু তিনি না থাকলে তাঁর সন্তানের কি হবে সেই চিন্তায় রয়েছেন তিনি।
মোনারা সরদার।বয়স প্রায় ষাট ছুঁই ছুঁই। ক্যানিংয়ের হাটপুকুরিয়া পঞ্চায়েতের তেঁতুলবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা।স্বামী জুব্বার সরদার ও তিন মেয়ে ও দুই ছেলে কে নিয়ে বসবাস করতেন। দরিদ্র সংসারে কোন রকমে দিন গুজরান করে চালাতো জুব্বার।ইতিমধ্যে তিন কন্যা কে কোন রকমে বিয়েও দিয়ে দেয় সরদার দম্পতি।আচমকা বিগত ১০ বছর আগেই জুব্বার মারা যায়।তারপরের বছর মারা যায় বাড়ির বড় ছেলে।অন্ধার নেমে আসে সরদার পরিবারে। অসহায় হয়ে পড়েন মোনারা সরদার। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন সন্তান সামসুদ্দিন সরদার কে বুকে আগলে রেখে ভিক্ষা করে সংসার চালায়।যদিও মানবিক রাজ্য সরকারের নজর এড়ায়নি এই অসহায় পরিবারের দিক থেকে। মানসিক ভারসাম্যহীন সন্তানের জন্য মানবিক ভাতা চালু হয়েছে।
মনোরা সরদারের দাবী ‘মাসে এক হাজার টাকায় কি হবে?ছেলের চিকিৎসা খরচ রয়েছে। তারপর বর্তমানে দূর্মূল্য বাজারে এক হাজার টাকায় কিছুই হয় না। বসত বাড়ি ছাড়া জায়গা জমি কিছুই নেই। সংসার চালাতে ষ্টেশনে ষ্টেশনে সন্তান কে নিয়ে ভিক্ষা করি।দশ বছর হয়ে গেল স্বামী মারা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত বিধবাভাতা মেলেনি। সরকার যদি মুখ তুলে তাকায় তাহলে হয়তো বাঁচতে পারবো আমি আর আমার সন্তান।আমি মারা গেলে আমার সন্তানের কি হবে কে দেখবে?সরকার যদি কিছু একটা ব্যবস্থা করে তাহলে ভালো হয়।’