বিবাহের ৬ বছর পরেও অতিরিক্ত পন না মেলায় বধুকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠল এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের বিরুদ্ধে।

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা:- বিবাহের ৬ বছর পরেও অতিরিক্ত পন না মেলায় বধুকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠল এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার কে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে চাঁচল থানার পুলিশ। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের চাঁচল থানার বিষ্ঠুপুর এলাকায়। ওইদিনই চাঁচল থানার পুলিস ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠান।গোটা ঘটনা নিয়ে এদিন চাঁচল থানায় ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুরো ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই গৃহবধূর নাম চাঁদমনি খাতুন (২৬)। বাড়ি চাঁচোল থানার বিষ্ঠুপুর এলাকায়। অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার এর নাম কালু শেখ। বর্তমানে তিনি চাচল থানায় কর্মরত।

মৃত বধুর পরিবার সূত্রে জানা যায়, বছর ছয়েক হরিশ্চন্দ্রপুর থানা চন্ডিপুরের ইসরাইল হোসেনের মেয়ে চাঁদ মনি খাতুনের সাথে চাচল থানার সিভিক বৃষ্টি পুর এলাকার হাকিম আলীর ছেলে পেশায় সিভিক ভলেন্টিয়ার কালু শেখের বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে তিন বছরের একটি ছেলে ও এক বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। মৃতার পরিবারের অভিযোগ বিয়ের পর থেকেই অতিরিক্ত পণের জন্য চাদমনির উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করা হতো।এ নিয়ে বেশ কয়েকবার চাচোল থানায় অভিযোগ জানানো হয়। স্বামী স্ত্রীর বিবাদ মেটানোর জন্য বেশ কয়েকবার গ্রাম ও থানায় সালিশি সভায় বসা হয়। তার পরেও অত্যাচারের মাত্রা কমেনি। আরো অভিযোগ বাপের বাড়ির সদস্যদের অভিযোগ, গতকাল সন্ধ্যা নাগাদ আমাদের ফোন মারফত জানানো হয় মেয়ে ঘরে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে। কিন্তু গিয়ে দেখি মেয়েকে খুন করা হয়েছে। পনের জন্যই আমার মেয়েকে খুন করা হয়েছে জামাই। আমরা এই নিয়ে চাচল থানার জামাই সহ মেয়ের শ্বশুর-বাড়ির ১০ জনের সদস্যদের বিরুদ্ধে খুনের লিখিত অভিযোগ দায়ের করলাম।

এ বিষয়ে চাঁচোল মহকুমা পুলিশ আধিকারিক শুভেন্দু মন্ডল জানিয়েছেন, অভিযোগ পাওয়ার পরেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত শুরু হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *