কারখানার সামনে জাতীয় সড়কের উপর আহত অবস্থায় এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির,এগিয়ে এলেন স্বহৃদয় ব্যক্তি,প্রশংসার ঝড় কাটাখালে।

নিজস্ব সংবাদদাতা,পশ্চিম মেদিনীপুর:- প্রতিষ্ঠিত কারখানার সামনে ৬০নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর এক অজ্ঞাত ব্যক্তি আহত অবস্থায় পড়ে থাকল দীর্ঘক্ষণ। আইনি জটিলতার ভয়ে সাহায্যের জন্য এগিয়ে এল না কেউ।দীর্ঘ সময় পর অবশেষে সাহায্যের হাত বাড়াল সহৃদয় এলাকাবাসী কিছু যুবক।ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড় থানার কাঁটাই খাল এলাকার।ঘটনায় জানা যায়
নারায়ণগড় থানার কাটাইখাল এলাকায় অবস্থিত বহু প্রতিষ্ঠিত সুপ্রিম কারখানা।আর সেই কারখানার মূল গেট থেকে কয়েক হাত দূরেই অবস্থিত ষাট নম্বর জাতীয় সড়ক।আর সেই জাতীয় সড়কের ওপর দীর্ঘক্ষণ আহত অবস্থায় পড়ে থাকল মধ্যবয়স্ক এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। মাথা ফেটে গিয়ে রক্ত বেরিয়ে এসেছে। শরীরে হাতে লেগে রয়েছে রক্তের দাগ।চোখমুখ ফুলে গিয়েছে।নাক দিয়ে বেরিয়ে এসেছে রক্ত। তবে প্রাণ রয়েছে ,ডাকাডাকি করলে মুখে শব্দ করতে না পারলেও হাতগুল মৃদুভাবে কম্পন করছিল সে।তবে এই অবস্থায় দীর্ঘক্ষণ ওই ব্যক্তি পড়ে থাকলেও প্রথমে আইনি জটিলতার ভয়ে এগিয়ে এল না কেউ।এলাকাবাসী অনেকে এই অবস্থাটা লক্ষ্য করেছেন অনেকক্ষণ থেকে। অবশেষে দীর্ঘক্ষণ পর সাহায্যের জন্য এগিয়ে এল এলাকাবাসী কিছু সহৃদয় যুবক।তারাই প্রথম তাকে ডাকাডাকি করে এবং জল নিয়ে এসে চোখেমুখে দিয়ে খাওয়ানোর চেষ্টা করে।পরে খবর যায় নারায়ণগড় থানাতে।নারায়ণগড় পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে খবর দেওয়া হয় জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে।দুপুর নাগাদ জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের একটি অ্যাম্বুলেন্স এসে ওই আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় খড়্গপুর গ্রামীণ হসপিটালে।
এলাকাবাসীদের বক্তব্য সম্ভবত কোনো দুর্ঘটনার কারণে এই অবস্থা হতে পারে ওই ব্যক্তির।তাঁরা এ ও মনে করছেন লোকটি হয়তো পাগল হতে পারে।অনেকে বলছেন গত কাল থেকে সে পড়ে রয়েছে ওই ষাট নম্বর জাতীয় সড়কের কাছেই।আজ রবিবার সকালে তা দেখতে পেয়ে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে এলাকাবাসী সহৃদয় কয়েকজন যুবক।পরে নারায়ণগড় থানা এবং জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করা হয়।তবে প্রশ্ন উঠেছে কীভাবে আহত অবস্থায় একজন ব্যক্তি এতক্ষণ ধরে জাতীয় সড়কের ধারে পড়ে থাকল?তাঁকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে এল না কেউ কেন?আইনি জটিলতা নাকি তাঁকে পাগল ভেবে?আর পাগল হলে তার প্রাণের কি কোনো মূল্য নেই? এই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।তবে ওই ব্যক্তিটি কোথা থেকে এসেছে ? তাঁর আসল পরিচয় কী? সমস্ত কিছুর দিক খতিয়ে দেখছে নারায়ণগড় থানার পুলিশ প্রশাসন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *