মনিরুল হক, কোচবিহার: রাত পোহালেই পুরসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই ভোট কর্মীরা ডিসিআরসি সেন্টার থেকে ইভিএম সহ ভোট গ্রহণের সমস্ত নথিপত্র নিয়ে বুথ কেন্দ্রের দিকে রওনা হতে শুরু করেছেন। রাজ্যের ১০৮ টি পুরসভায় নির্বাচন ঘোষণা করেছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এরমধ্যে ৩ টি পুরসভায় বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তাই আগামীকাল ১০৫ টি পুরসভায় ভোট গ্রহণ হতে চলেছে। এরমধ্যে কোচবিহার জেলায় ৬ পুরসভার মধ্যে ৫ টি পুরসভায় নির্বাচন হবে। ওই পাঁচ পুরসভা হল কোচবিহার, মাথাভাঙ্গা, তুফানগঞ্জ, মেখলিগঞ্জ ও হলদিবাড়ি। দিনহাটা পুরসভায় তৃণমূল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পাওয়ায় সেখানে নির্বাচন হচ্ছে না বলে জানা গিয়েছে।
কোচবিহার পুরসভার নির্বাচনের জন্য ডিসিআরসি সেন্টার করা হয়েছে শহরের নৃপেন্দ্র নারায়ণ হাইস্কুলে। ভোট শেষে সেখানেই স্ট্রং রুমে ইভিএম মেশিন গুলি কড়া পাহারার মধ্যে রাখা হবে বলে জানা গিয়েছে। কোচবিহার পুরসভার নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা কোচবিহার সদর মহকুমা শাসক রাকিবুর রহমান জানিয়েছেন, কোচবিহার পুরসভার ২০ টি ওয়ার্ডের জন্য ৮২ টি বুথে ভোট গ্রহণ করা হবে। প্রত্যেক বুথে ৪ জন করে ভোট কর্মী থাকবেন। সব মিলিয়ে ৪৪০ জন ভোট কর্মী কোচবিহার পুরসভা নির্বাচনে নিয়োগ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রত্যেক বুথেই সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। তবে এি নির্বাচনে ভিভি প্যাড থাকছে না বলে কোচবিহার সদর মহকুমা শাসক জানিয়েছেন। প্রত্যেক বুথে দুজন করে লাঠিধারি পুলিশ অবশ্যই থাকবে। ডাবল বুথে একজন করে বন্দুক ধারি পুলিশ থাকবেন। এছাড়াও বুথের বাইরে পুলিশই টহল দারি থাকবে বলে জানা গিয়েছে। সব মিলিয়ে কোচবিহার পুর ভোটের জন্য মোট ৫০০ পুলিশ কর্মী নিয়োগ করা হবে।
আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও পুরোপুরি ভাবে করোনা নির্মূল না হওয়ায় স্বাস্থ্য বিধি মেনে ভোট গ্রহণ কড়া হবে বলে জানা গিয়েছে। মাস্ক সেনিটাইজার ব্যবহার ছাড়াও ভোট দেওয়ার সময় গ্লাবস ব্যবহার করা হবে বলেও জানা গিয়েছে। দূরত্ব বজায় রেখে যাতে ভোটের লাইন হয়, সেটাও লক্ষ্য রাখা হবে।
কোচবিহারে পুর ভোট গ্রহণের প্রস্তুতি চূড়ান্ত, ডিসিআরসি থেকে ইভিএম নিয়ে বুথে রওনা ভোট কর্মীদের।

Leave a Reply