ফুলের শোভায় ভরে উঠেছে চাতরাখালি নতুন অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়।

সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং – দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী ব্লকের চাতরাখালি গ্রামে ১৯৬২ সালে স্থাপিত হয় ‘চাতরাখালি নতুন অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়’।প্রথম প্রধান শিক্ষক ছিলেন প্রয়াত ফজরুল রহমান সরদার।তাঁর হাত ধরে অন্ধকার থেকে প্রত্যন্ত গ্রামের শিক্ষার আলোয় ফিরে বিদ্যালয়ের পথ চলায় শুরু।বর্তমানে বিদ্যালয়ের প্রধান হৃষিকেশ নস্কর।বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা ৩২১ জন এবং শিক্ষক ৭ জন।
বিদ্যালয়ের পাশেই রয়েছে এক বিশাল শিমূল ফুল গাছ। বসন্তে শোভা পায়।সেখানে বিদ্যালয়ের টিফিনের সময় বিদ্যালয়ের ক্ষুঁদেরা ভীড় জমায় ফুলের আকর্ষণে।ফুলের প্রতি শিশুদের আকর্ষণ নজর এড়ায়নি প্রধান শিক্ষকের।কচিকাঁচাদের মন পড়াশোনা এবং ফুলের প্রতি আকর্ষণ করে তুলতে অভিনব পন্হা অবলম্বন করেন প্রধান শিক্ষক হৃষিকেশ বাবু। সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন স্কুলের সামনে যতটুকু জায়গা আছে ফুল চাষ করবেন। প্রধান শিক্ষকের মতামত কে প্রাধান্য দিয়ে এবং শিশুদের ভবিষ্যত চিন্তা করে এগিয়ে আসেন শিক্ষক দীপক সরকার,নিতাই চাঁদ দাস,শিবাজী মুখার্জী,ব্রজগোপাল সরদার,ভীম চন্দ্র সরদার,জ্যোতি সুঁই’রা । ২০১৮ সালে বিদ্যালয়ের মধ্যে ফুলের চাষ শুরু করেন শিক্ষকরা। ৮ থেকে ১০ প্রকার রঙ বেরঙের গোলাপ ফুল থেকে প্রায় ১৫০ প্রজাতির ফুলগাছ রয়েছে। যার মধ্যে টিকা মা গৌরী,জবা,ব্লেডিং হার্ড, কামিনী,অ্যালামুন্ডা,শিউলি,টগর,গন্ধরাজ,বকুল সহ অন্যান্য বিভিন্ন প্রজাতির ফুল শোভা করে উজ্জল করেছে বিদ্যালয় চত্বর।যা ছোট ছোট শিশু মনে পড়াশুনার সাথে সাথে পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন হয়ে মনোরম হয়ে ওঠে ছাত্র ছাত্রীরা।পাশাপাশি পড়াশুনার মধ্যে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ বিষয়ে সচেতন হয়ে উঠছে ছাত্র ছাত্রীরা।আর এই ফুলের পরিবেশ দেখতে মাঝে মধ্যে চলে আসছেন এলাকার মানুষজন।বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এমন অভিনব উদ্যোগে খুশি অভিভাবক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষজন।বলাই বাহুল্য সুন্দরবনের বুকে পিছিয়ে পড়া ব্লক বাসন্তী। সেই বাসন্তী ব্লকের চাতরাখালি নতুন অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয় এক ইতিহাস। যা সম্ভব হয়েছে বিদ্যালয়ের শিক্ষক মন্ডলী তথা জাতির মেরুদন্ড শিক্ষকদের উদ্যোগ।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন ‘ইচ্ছা রয়েছে বড় করে ফুলের বাগান এবং বিভিন্ন গাছের মনোরম পরিবেশ গড়ে তোলার।বিদ্যালয়ে তেমন ভাবে জায়গা না থাকায় সম্ভব হয়নি। তবে শিশুরা যাতে সব সময় আনন্দের মধ্যে পড়াশোনা করতে পারে সে দিকে আমরা শিক্ষক মন্ডলীরা যথাসাধ্য চেষ্টা করে চলেছি। কারণ শিশুরাই আমাদের ভবিষ্যৎ’।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *