হাঁস পালন বিষয়ক সাধারণ কিছু কথা।

আজও গ্রামাঞ্চলে হাঁস পালন করতে দেখা যায় ঘরে ঘরে। সঠিক পদ্ধতিতে ছাষ করলে আর্থিক ভাবে লাভবান হওয়া যায়। তবে,  হাঁস পালন বিষয়ে সাধারণ কিছু প্রশ্নের উত্তর আমাদের সকলেরই জেনে রাখা দরকার। হাঁস পালন আমাদের দেশের গ্রামাঞ্চলে বেশ জনপ্রিয় একটি পেশা। হাঁস পালনের মাধ্যমে অনেকেই তাদের আর্থিক অবস্থার উন্নতি ঘটিয়েছেন। হাঁস পালন করে একদিকে যেমন মাংস উৎপাদন করা যায় অপরদিকে প্রচুর পরিমাণে ডিম পাওয়া যায়। যা আমাদের পুষ্টির চাহিদা অনেকাংশে পূরণ করে থাকে। তবে হাঁস পালনের বিষয়ে অনেকেরই মনে বিভিন্ন প্রশ্ন থাকে। হাঁস পালনের বিষয়ে সাধারণ কিছু প্রশ্নের উত্তর নিচে দেওয়া হল-

দেশে হাঁসের মাংসের চাহিদা রয়েছে ব্যাপক। তবে শীতকালে হাঁসের মাংসের চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকে। আর অন্য সময়গুলোতে হাঁসের মাংসের চাহিদা তুলনামূলকভাবে কম থাকে। অন্যদিকে হাঁসের ডিমের চাহিদা সারা বছরই থাকে। বিশেষকরে শীতকালে এই চাহিদা অনেকগুনে বেড়ে যায়। হাঁসের খামার থেকে লাভবান হওয়ার জন্য তাই ডিম উৎপাদনের কোন বিকল্প নেই।
হাঁস পালনে লাভবান হওয়ার জন্য হাঁসের জাত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যে চিন্তা নিয়ে হাঁস পালন শুরু করতে হবে সেই অনুযায়ী হাঁসের জাত নির্বাচন করা সবচেয়ে জরুরী। তবে যারা মাংস উৎপাদনের জন্য হাঁস পালন করতে চান তাদের জন্য বেইজিং জাতের হাঁস পালন করা বেশি লাভজনক। আর যদি ডিম উৎপাদন করার জন্য হাঁস পালন করা হয় তাহলে ভালো হবে জিনডিং ও ক্যাম্পবেল জাতের হাঁস। এই জাতের হাঁসগুলো বেশি পরিমাণে ডিম দিয়ে থাকে।
হাঁসের খামারে যদি শুধু ডিম উৎপাদন করার দরকার হয় তাহলে কেউ কেউ পরামর্শ দিয়ে থাকেন যে হাঁসা না থাকলেও কোন প্রকার সমস্যা হয় না। তবে এই তথ্যটি সম্পূর্ণ ভুল নয়। কারণ, হাঁসা না থাকলেও হাঁস ডিম দিয়ে থাকে। তবে প্রতি ১০ থেকে ১৫টি হাঁসির জন্য ১টি করে হাঁসা রাখলে সবচেয়ে ভালো হয়। এর ফলে খামারের হাঁসের ডিম উৎপাদন বাঁধাগ্রস্ত হয় না। এজন্য খামারে ডিম উৎপাদন করা হলে কিছু হাঁসা রাখলে সবচেয়ে ভালো হয়।
ক্যাম্পবেল জাতের হাঁস ডিম উৎপাদনের জন্য সাধারণত পালন করা হয়ে থাকে। এই জাতের হাঁস সাধারণত ৭০% ডিম দিয়ে থাকে,
আর যদি হাঁসের জন্য নিয়মিত সঠিক পরিমাণে সুষম খাদ্য প্রদান করা হয় তাহলে এই জাতের হাঁস ৯০% পর্যন্ত ডিম ডিম দিয়ে থাকে।

।।সংগৃহীত।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *