দীর্ঘদিন হলে ও সংস্কার হয়নি খেয়া ঘাট।

সুভাষ চন্দ্র দাশ, ক্যানিং :– ক্যানিং থানার অন্তর্গত ইটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনস্ত গোলাবাড়ি বাজার অবস্থিত। বাজারের পাশ দিয়েই বয়ে চলেছে মাতলা নদী। বাজার সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে একটি খেয়াঘাট। এই খেয়া পারাপারের মাধ্যমে বাসন্তী ও ক্যানিংয়ের সংযোগ ঘটেছে।পাশাপাশি এই গোলাবাড়ি খেয়াঘাট হতে দেশবিদেশর ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকরা সুন্দরবনে যাতায়াত করেন গোলাবাড়ি খেয়াঘাট থেকে। পর্যটন মরশুমে একসময় প্রতিদিনই সুন্দরবন ভ্রমণের পর্যটকদের আনাগোনা ছিল।বর্তমানে দীর্ঘ প্রায় সাত বছর অতিক্রান্ত হল পর্যটকরা আর এই পথে আসে না। কারণ একটাই ‘দীর্ঘদিন ধরেই ভাঙাচোরা অবস্থায় পড়ে রয়েছে জেটিঘাট’। ফলে ভাঙাচোরা জেটিঘাটে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা সম্মুখিন হতে হয়।যার ফলে পর্যটকরা আর আসেন না। এছাড়াও দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও ভাঙাচোরা অবস্থায় পড়ে রয়েছে খেয়াঘাট।নেই কোন প্রতিক্ষালয়। নেই আলো ব্যবস্থা। আর সেই কারণে প্রতিনিয়ত দুষ্কৃতিদের তান্ডব বেড়ে চলেছে।ফলে সন্ধ্যার পর ঝুঁকি নিয়ে খেয়া পারাপার করতে হয় সাধারণ যাত্রীদের।একসময় ক্যানিংয়ের গোলাবাড়ি আর বাসন্তীর হাড়ভাঙ্গীর একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম এই খেয়া। হাজার হাজার লোকজন যাতায়াত করতেন।খেয়াঘাটে আলোও ছিল। বিগত দিন আম্ফানের তান্ডবে বাতিস্তম্ভ মাটিতে শুয়ে রয়েছে।ভেঙে পড়েছে জেটিঘাট।খেয়া পারাপারের সময় যে কোন মুহূর্তে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও কোন সংস্কার হয়নি। আবার গোলাবাড়ির এই খেয়াঘাট সংলগ্ন এলাকায় সন্ধ্যার পর দুষ্কৃতিদের আনাগোনা বাড়ে। ফলে সাধারণ মানুষ ঘুর পথে যাতায়াত করতে বাধ্য। তাদের দাবী সরকার যদি জেটিঘাট সংস্কার করে বাতিস্তম্ভ লাগায় তাহলে আবারও পর্যটকদের ভীড় হবে। স্বাভাবিক হয়ে খেয়া পারাপার এবং কমবে দুষ্কৃতিদের উপদ্রব। এছাড়াও যোগাযোগ মাধ্যম সচল হলে এলাকায় আর্থিক সচ্ছলতা বাড়বে।
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় ইটখোলা গ্রামপঞ্চায়েত উপ প্রধান খতিব সরদার এর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানিয়েছে ‘যাতে করে খেয়াঘাট সংস্কার হয়,আলো লাগানো যায় সেই উদ্যোগ নিয়ে জেলা পরিষদ কে জানিয়েছি। আশাকরি খুব শীঘ্র সংস্কারের কাজ শুরু হবে। “

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *