জয় কিষান আন্দোলন পশ্চিমবঙ্গে “অগ্নিপথ বিরধ দিবস” পালন করলো।

কলকাতা, ২৪শে জুন, ২০২২: সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার আহ্বানে, জয় কিষাণ আন্দোলন আজ পশ্চিমবঙ্গে “অগ্নিপথ বিরোধ দিবস” পালন করেছে। জয় কিষান আন্দোলনের বহু গ্রাম ইউনিটে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মিছিল করে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কুলতলি, জয়নগর-২, কুলপি, সাগর, নামখানা ও কাকদ্বীপ ব্লক, উত্তর দিনাজপুর জেলার গোয়ালপোখর-১ ও ২ ব্লক, হুগলী জেলার পান্ডুয়া ও পোলবা-দাদপুর ব্লক এবং বাঁকুড়া জেলার বড়জোড়া সোনামুখী ও কোতুলপুর ব্লক, মোট ৪ জেলার ১৩টি ব্লকের উন্নয়ন আধিকারিকদের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে অগ্নিপথ প্রকল্প প্রত্যাহার করার স্মারকলিপি পেশ করা হয়।

জয় কিষাণ আন্দোলনের রাজ্য সভাপতি প্রবীর মিশ্র বলেন: “এসকেএম-এর সমন্বয় কমিটির ডাক অনুসারে জয় কিষাণ আন্দোলন ব্লক অফিসগুলিতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ প্রদর্শনের পর রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি পেশ করেছে। বেশিরভাগ সৈন্যই কৃষক পরিবারের। কৃষক আন্দোলনের জেরে মোদী সরকারের মুখ পুড়েছে। অগ্নিপথ প্রকল্প তারই প্রতিশোধ নেওয়ার চক্রান্ত। প্রধানমন্ত্রী ভুলতে পারছেন না যে কৃষকদের বিক্ষোভ তাকে ৩টি কালো কৃষি আইন বাতিল করতে বাধ্য করেছে। কেন্দ্রীয় সরকার শুধু জাতীয় নিরাপত্তা এবং বেকার যুবকদের স্বপ্ন নিয়ে নয়, দেশের কৃষক পরিবারগুলির সাথেও খেলা করছে। এদেশের জওয়ান একজন উর্দিধারী কৃষক। সেনাবাহিনীর চাকরি লক্ষ লক্ষ কৃষক পরিবারের সম্মান ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তার সাথে জড়িত।”

জয় কিষান আন্দোলনের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি ননী রায় বলেন: “অগ্নিপথ প্রকল্পটি ভারতের সামরিক-স্বার্থ বিরোধী, কৃষক বিরোধী এবং দেশবিরোধী। কেন্দ্রীয় সরকার যখন “জয় জওয়ান জয় কিষান” স্লোগানের চেতনাকে ধ্বংস করতে উদ্যত হয়েছে, তখন কৃষকদের প্রতিবাদ না করে উপায় নেই। এই সংগ্রামে জওয়ানদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়ানো কৃষক আন্দোলনের কর্তব্য। জয় কিষাণ আন্দোলন আজ বাংলায় সেটাই করেছে এবং এই কৃষকবিরোধী পরিকল্পনা প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আমরা সংগ্রাম চালিয়ে যাব এবং প্রয়োজনে আর জোরদার করব।”

জয় কিষাণ আন্দোলনের উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি শম্ভু লাল রায় বলেন: “এটা দেশের জন্য লজ্জার বিষয় যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, যিনি “এক পদ এক পেনশন” প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রাক্তন সেনাদের সমাবেশ করে তার বিজয় অভিযান শুরু করেছিলেন, এখন “কোন পদ না, কোন পেনশন না” ব্যাবস্থার অগ্নিপথ স্কিম চালু করেছে৷ সেনাবাহিনীতে নিয়মিত নিয়োগে বিশাল কাটছাঁট সেই কৃষক পুত্রদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা, যারা বছরের পর বছর সেনাবাহিনীতে চাকরি করার স্বপ্ন লালন করেছিল।”

জয় কিষান আন্দোলনের হুগলি জেলা সভাপতি সুশান্ত কাঁড়ি বলেন: “আমাদের মাতৃভূমির সীমানা রক্ষা করা পবিত্র দায়িত্ব। সশস্ত্র বাহিনীতে যোগদানকারী কৃষকদের পুত্র-কন্যারা প্রয়োজনে তাদের জীবন উৎসর্গ করে এই দায়িত্ব পালন করছেন। এটি একটি লজ্জার বিষয় যে মোদি সরকার এই বীর সৈনিকদের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা খর্ব করার চেষ্টা করছে। মোদী সরকার সত্যিই একটি ভারত-বিরোধী সরকার।”

*মিডিয়া সেল | জয় কিষান আন্দোলন*
যোগাযোগঃ ৮৩৩৬ ৯৩৯৩৯৩

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *