শিশুর নাকের মধ্যে আটকে বাদাম,চিকিৎসকের চেষ্টায় স্বস্তি ফিরলো পরিবারের।

সুভাষ চন্দ্র দাশ, ক্যানিং: – বয়স মাত্র তিন বছর। বাড়িতেই খেলছিল।বুধবার সকাল দশটা নাগাদ আচমকা বাড়ির দোকানে ঢুকে আপনমনে বাদাম খাচ্ছিল জগনগর থানার অন্তর্গত তিলপি গ্রামের বছর তিন বয়সের শিশু বাসিল মোল্লা।বাদাম খাওয়ার সময় কোন প্রকারে একটি গোটা বাদাম তার নাকের ছিদ্রে ঢুকে পড়ে।শ্বাস নিতে কষ্ট হয়।পরিবারের লোকজন জানতে পেরে নাকের ছিদ্র থেকে বাদাম টি বের করার চেষ্টা করে। কোন ভাবে বাদাম বের করতে না পেরে হতাশ হয়ে পড়ে পরিবারের লোকজন।পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে,ঘটে যেতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা। বেগতিক বুঝেই শিশুটির চিকিৎসার জন্য পরিবারের লোকজন স্থানীয় এক গ্রামীণ চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে কোন প্রকার কিছু না হওয়ায় বুধবার রাতেই চিকিৎসার জন্য ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় ওই শিশু কে। শুরু হয় ওই শিশুর নাকে থেকে বাদাম বের করার চেষ্টা।ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকরা অক্লান্ত চেষ্টা করেন শিশুর নাক থেকে বাদামটি বের করার জন্য।
শিশুর নাকের ছিদ্র দহথেকে বাদাম টি বের করতে না পেরে রাতেই ওই শিশু কে চিকিৎসার জন্য কলকাতা চিত্তরঞ্জন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন।সেখানেও ইএনটি বিভাগের চিকিৎসকদের হিমশীম খেতে হয়।শিশুটির নাকের এক্সরে করা হয়।পরে বাদাম টি বের করেন চিকিৎসকরা।শিশুর নাকের ছিদ্র থেকে বাদাম বের হতেই স্বস্তি ফেরে পরিবারের সদস্যদের।
ওই শিশুর মা সাবিনা মোল্লা জানিয়েছেন ‘বাড়িতে দোকান রয়েছে। বাসিল সকলের অজান্তে দোকানে ঢুকে বাদাম খাচ্ছিল। আচমকা একটি বাদাম তার নাকের ছিদ্র ঢুকে যায়।চিকিৎসকদের চেষ্টায় প্রায় ১৭ ঘন্টা পর নাকের ছিদ্র থেকে বাদাম বের হয়।ভীষণ চিন্তায় ছিলাম। চিকিৎসকদের অসংখ্য ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *