নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- নদীয়া জেলার রানাঘাট-১ ব্লক বরাবরই মিশ্র কৃষি অধুষ্যিত এলাকা। মরশুমি সবজি ও ধান চাষ এখানকার মূল কৃষি পণ্য। পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে মোট শ্রমশক্তির প্রায় ৩৫ % প্রত্যক্ষ্য ভাবে কৃষির সাথে যুক্ত। এই ব্লকের বারাসাত পঞ্চায়েত রাজ্যের মধ্যে উৎকৃষ্ট মানের কলা উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত। এর পাশাপাশি গৃহ ভিত্তিক হ্যান্ডলুমও জীবিকার অন্যতম মাধ্যম।
রানাঘাট-১ ব্লকের অন্তর্গত বারাসাত পঞ্চায়েত -এর অধীন ভাদুড়ী পশ্চিমপাড়া গ্রামের একজন সফল কৃষিজীবী সুখ চাঁদ অধিকারী। বয়স ৪০। ছয় সদস্য বিশিষ্ট পরিবারটির জীবন জীবিকার একমাত্র মাধ্যম মরশুমি সবজি চাষ, এর পাশাপাশি বিভিন্ন প্রজাতির কলা,ধান ও সর্ষে । কিন্তু আধুনিক কৃষির খুঁটিনাটি না জানার ফলে ফসলের গুণমান খুব যে উৎকৃষ্ট মানের – সেটা কোনোভাবেই বলা যায় না। পাশাপাশি কৃষির উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির ফলে যে পরিমান শ্রম ও পুঁজি বিনিয়োগ করা হতো, সেই তুলনায় লাভের পরিমান বেশ কম। এই অবস্থায় সুখ চাঁদ বাবুর সাথে ২০১৯ সালে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের একটি গ্রামীণ সচেতনতা শিবিরে পরিচয় ঘটে ফাউন্ডেশনের কর্মী সুজয় ব্যানার্জির সাথে। এই শিবির থেকে ফাউন্ডেশনের টোল ফ্রি হেল্পলাইন নম্বর, ১৮০০ ৪১৯ ৮৮০০, হোয়াটস্যাপ পরিষেবা এবং কৃষির বিভিন্ন প্রশিক্ষণের কথা জানতে পারেন। এর পর সুজয় বাবুর পরামর্শে সুখ চাঁদ নিয়মিত হোয়াটস্যাপ চ্যাটের মাধ্যমে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের কৃষি বিশেষজ্ঞের সাথে তথ্য আদান প্রদান করতে থাকেন, বিশেষ করে উন্নত বীজ ও সারের ব্যবহার, কৃষি খামার ব্যবস্থাপনা এবং রোগ প্রতিষেধক ব্যবস্থা। পাশাপাশি হেল্পলাইন নম্বর তো ছিলই। এছাড়া রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন আয়োজিত কৃষি সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশিক্ষণের নিয়মিত অংশগ্রহণকারী ছিলেন সুখ চাঁদ। ফলস্বরূপ পরবর্তী মরশুমে ফসলের গুণমান বৃদ্ধির পাশাপাশি উৎপাদন খরচও ধীরে ধীরে কমতে থাকে – বৃদ্ধি পায় আয়ের পরিমান।
আত্মবিশ্বাসী কৃষক সুখ চাঁদ আমাদের প্রতিনিধিকে বলেন ” রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের কৃষি তথ্য পরিষেবা আমাদের মতো কৃষকের কাছে খুবই উপকারী প্লাটফর্ম। আগে আমরা প্রথাগত পদ্ধতিতেই চাষ করতাম। কৃষি বিশেষজ্ঞের সাথে সরাসরি সংযোগ আমাদের কাছে স্বপ্ন ছিল। রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের দৌলতে আমরা এখন ঘরে বসেই কৃষি সমস্যা মেটাতে পারছি। এই ফাউন্ডেশনের সাথে যুক্ত হওয়ার আগে আমার মাসিক আয় ছিল ১০,০০০/- টাকার মত, কিন্তু এখন তা বেড়ে প্রায় ১৫,০০০/- হয়েছে। এর অন্যতম কারণ কৃষির উৎপাদন খরচ অনেকটাই কমে যাওয়া। ধন্যবাদ রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন পরিবার ” ।
রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সাফল্যের মিষ্টি স্বাদ পেলেন কৃষিজীবী সুখচাঁদ।

Leave a Reply