নির্যাতনের জেরে শ্বশুরবাড়িতেই গলায় শাড়ির ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হলেন এক গৃহবধূ।

0
165

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ-নির্যাতনের জেরে শ্বশুরবাড়িতেই গলায় শাড়ির ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হলেন এক গৃহবধূ।ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার সন্ধ্যায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার দৌলতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বেজপুরা গ্রামে।আত্মঘাতী গৃহবধুর নাম ফুলমণি খাতুন(৩০)।অভিযোগ পেয়ে ফুলমণি খাতুনের স্বামী নুরুদ্দিন ইসলাম এবং তার ননদ নাসো বিবিকে গ্রেফতার করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।বাকি অভিযুক্তরা পলাতক।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায় বিগত আট বছর আগে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার মালিপাকোর গ্রামের বাসিন্দা ফুলমণির সঙ্গে পার্শ্ববর্তী গ্রাম বেজপুরা গ্রামের বাসিন্দা নুরুদ্দিনের বিয়ে হয়।জানা যায় নুরুদ্দিনের এর আগে দুইটি বিয়ে হয়েছিল।আগের দুই পক্ষকে তালাক দেওয়ার পরেই ফুলমনির সঙ্গে তার বিয়ে হয় বলে জানিয়েছে ফুলমণির পরিবার। ফুলমনি ও নুরুদ্দিনের এক ছেলে এক মেয়ে। ফুলমনির পরিবারের অভিযোগ বিগত কয়েক মাস ধরেই নুরুদ্দিনের তার বৌদি বেলো বিবির সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে এই জন্য প্রায়শই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে গন্ডগোল লেগে থাকতে।ফুলমণি প্রতিবাদ করতে গেলে স্বামী নুরুদ্দিন সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেরা মিলে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন চালাতো বলে অভিযোগ।রবিবার সন্ধ্যেবেলায় ফুলমণি খাতুনকে তার শ্বশুরবাড়িতে শাড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগা অবস্থায় দেখা যায়।খবর দেওয়া হয় হরিশ্চন্দ্রপুর থানায়।পুলিশ এসে মৃত দেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে এবং সোমবার ময়না তদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়।

মৃত ফুলমণির খাতুনের মা সাজিদা বেওয়ার অভিযোগ ‘আমার মেয়েকে দিনরাত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাত ওর শ্বশুর বাড়ির লোকেরা।মোটা টাকা নিয়ে আসার জন্য চাপ দিত। তাছাড়া জামাইয়ের বৌদির সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক ছিল বলে জানতে পেরেছি।এই নিয়ে মেয়ে প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর করা হতো।মেয়ে অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বাধ্য হয়ে গলায় ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here