নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ-পিকআপ ভ্যান চালকে তুলে নিয়েযেতে এবার চাঁচল থানায় দাদাগিরি ছয় যুবকের ,ভোররাতে চাঁচল থানায় হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পুলিশের কাছে প্রাণ বাঁচানোর আর্তি জানাচ্ছিল এক যুবক।তখন রাত প্রায় তিনটে।বিলাসবহুল মোটর বাইক নিয়ে এসে আরোও ছয় যুবক থানায় ঢুকে পড়ে।তারা পিকআপ ভ্যান চালককে থানা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ।পুলিশ বাধা দিলে,পুলিশকেও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও ধাক্কা ধাক্কি করে ওই ছয় যুবক বলে অভিযোগ।সোমবার ভোর তিনটে নাগাদ এই ঘটনায় হইচই পড়ে যায় মালদহের চাঁচল থানা প্রাঙ্গনে।হইচয়ে জড়ো হয় আরোও অতিরিক্ত পুলিশ।উদ্যত ওই ছয় বাইক চালক-আরোহীকে পুলিশ গ্রেফতারও করে।এবং চারটি বিলাসবহুল মোটর বাইক পুলিশ আটক করেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।ধৃতরা হল মেরাজুল ইসলাম, রনি অধিকারী, মর্তুজ আলি,মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান,বরকত আলি ওবিশ্বজিৎ শীল।প্রত্যেকের বাড়ি ইটাহার থানার চুড়ামুন এলাকায়।
পোল্ট্রি বোঝাই পিকআপ ভ্যানের চালক আজমল হোসেনের বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুরের খাড়াগ্রামে।ওই যুবক জানান,ইটাহার থেকে হরিশ্চন্দ্রপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম।মাধবপুর ব্রীজে ওঠার আগেই ফাঁকা জায়গায় দুই বাইক চালক পথ আটকায়।তারপর গাড়ি জানালা দিয়ে মারধর করে বলে অভিযোগ।সেসময় পিছন থেকে আরোও কয়েকটি মোটরবাইক তেড়ে আসে।সেই আতঙ্কে পিকআপ ভ্যান নিয়ে দ্রুত গতি ছুটি।সিনেমার কায়দায় চারটি মোটরবাইক নিয়ে যুবকরা প্রায় ১২ কিমি সড়কপথ ধাওয়া করে।গন্তব্য হরিশ্চন্দ্রপুর না গিয়ে নিরাপদের জন্য বাইরে পিকআপ ভ্যান রেখে থানায় ঢুকে প্রাণ বাঁচানোর আর্তি জানায় কর্তব্যরত পুলিশের কাছে। পিকআপ ভ্যান চালকের আরোও অভিযোগ,তারা প্রথমে থানার বাইরে এসে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ির কাঁচ ভেঙে ফেলে পড়ে আমাকে তুলে নেওয়ার জন্য পুলিশকে নিগ্রহ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।পুলিশের প্রাথমিক ভাবে অনুমান,ওই এলাকায় রাস্তায় বৃষ্টির জমা জল ছিটকে পড়ায় কারনে হয়তো যুবকরা ক্ষুদ্ধ হয়।
পুলিশ জানায় চারটি মোটরবাইক আটক করে।পিকআপ ভ্যান চালকের লিখিত অভিযোগের পর ওই ছয় যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।সুয়োমুটো মামলা রুজু করে সোমবার চাঁচল মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে।
Leave a Reply