নদিয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- ওরস এর জন্য বাংলাদেশ থেকে মেদিনীপুরে এলো বাংলাদেশ থেকে। 24টি ট্রেনের কামরায় এলেন তারা। রানাঘাট স্টেশনে ট্রেনটি দাঁড়ালো। মেদিনীপুরে আন্তর্জাতিক উরুষ উৎসব, বাংলাদেশ থেকে ২২৫৬ জন পুর্নার্থীদের নিয়ে শুক্রবার মেদিনীপুরে পৌঁছাইবিশেষ ট্রেন।পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর শহরে আন্তর্জাতিক উরুষ উৎসব শুরু হল দুদিন ধরে। যেখানে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিভিন্ন দেশের পূর্ণ্যার্থীরা হাজির হয়ে থাকেন এই উৎসবের শামিল হওয়ার জন্য। শুক্রবার ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ বাংলাদেশ থেকে আগত ২২৫৬ জন পুন্যার্থীদের নিয়ে স্পেশাল একটি ট্রেন পৌঁছায় মেদিনীপুর স্টেশনে। স্টেশনে অভ্যর্থনা জানালো মেদিনীপুর পৌরসভা তথা ভারতীয়রা।
মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মগুরু হযরত মুহাম্মদ এর বংশধরদের সমাধিস্থল রয়েছে মেদিনীপুরে। সেই স্থানে প্রতিবছর একটি বাৎসরিক উরুষ উৎসবের আয়োজন হয়ে থাকে। যেখানে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু লোক এই উৎসবের শামিল হওয়ার জন্য হাজির হয়ে থাকেন। সব থেকে বেশি পরিমাণে লোক আসে বাংলাদেশ থেকে। ১৯০২ সাল থেকে ভারত সরকার ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ উদ্যোগে একটি স্পেশাল ট্রেনকে ছাড় দিয়ে মেদিনীপুর পর্যন্ত আনা হয়। যেখানে বাংলাদেশ সরকারের তৈরি এই উরুষ কমিটি আঞ্জুমান-ই কাদেরিয়ার পক্ষ থেকে সেখানকার পূর্ণ্যার্থীদের সমস্ত নিয়ম মেনে এই উৎসবের শামিল হওয়ার জন্য নিয়ে আসা হয়। এবারে ওই স্পেশাল ট্রেন এসে পৌঁছালো শুক্রবার ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ মেদিনীপুর স্টেশনে। যেখানে পূর্ণ্যর্থী ছিলেন ২২৫৬ জন। মেদিনীপুর স্টেশনে তারা নামতেই তাদের ফুল ও মিষ্টি দিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হলো ভারতীয়দের পক্ষ থেকে মেদিনীপুর পৌরসভার আধিকারিকদের মাধ্যমে।”১৯০২ সাল থেকে এই মৈত্রীর সম্পর্ক আজও অটুট রয়েছে দুই দেশের।
ওরস এর জন্য বাংলাদেশ থেকে মেদিনীপুরে আসা ট্রেনটি রানাঘাট স্টেশনে দাঁড়ালো।

Leave a Reply