নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদহ:-আদিবাসী সম্প্রদায়ের সব থেকে বড় উৎসব হল এই বাঁধনা পরব। যা বাংলার তথা দেশের ঐতিহ্যবাহী এবং প্রাচীনতম সংস্কৃতির এক নিদর্শন।সেই উৎসব উপলক্ষে বাড়িতে তৈরি করা হয় তাদের নিজস্ব হাঁড়িয়া বা মদ।আদিবাসী গ্রামের মানুষের গ্রামে ঢুকে আদিবাসী মহিলাদের ওপর নির্মমভাবে মারধোরের অভিযোগ আবগারি দপ্তরের পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে। ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা পুরাতন মালদহের যাত্রাডাঙ্গা পঞ্চায়েতের রাইলা পাড়া গ্ৰামে। গাড়ি সহ আবগারি পুলিশদের আটকে রেখে এই মুহূর্তে বিক্ষোভ প্রদর্শন আদিবাসীদের। আদিবাসীদের দাবি অবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি যেন হয়, যারা এভাবে আদিবাসী মহিলার উপর মারধর করেছে। যদিও ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে মালদা থানার পুলিশ। ঘটনার প্রসঙ্গে জানা গেছে, আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজনের বাঁদনা পরব উপলক্ষে প্রত্যেক বাড়িতে হাড়িয়া বা মদ তৈরি করেছিল। তবে সেই হাড়িয়া বা মদ ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। ওই গ্রামের আদিবাসী সম্প্রদায়ের বাসিন্দারা আবগারি দপ্তরের সামনে বারবার অনুরোধ করতে থাকে তাদের বাদনা পরব অনুষ্ঠান চলছে তাই পুরনো নিয়ম মেনেই বাড়িতে তৈরি করা হয়েছে হাড়িয়া বা মদ বারবার অনুরোধ করা হয়।সেই হারিয়া বা মদ রাখা থাকা যাবতীয় জিনিস ভেঙে ফেলা হয়। এছাড়াও গ্রামবাসীদের মারধোর করা হয়। এই নিয়ে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন আফগানি দপ্তরের পুলিশ কর্মীসহ সাতটি গাড়িকে আটক করে দেয়।গ্রামবাসীরা জানান -আবগারি দপ্তরের পুলিশ কর্মীরা সাতটি গাড়ি করে আদিবাসী গ্রামের মধ্যে বৃহস্পতিবার সকাল নাগাদ আচমকাই ঢুকে এভাবে অত্যাচার চালায়। এদিকে ক্ষিপ্ত আদিবাসী সম্প্রদায়ের গ্রামবাসীরা একত্রিত হয়ে আবগারি দপ্তরের পুলিশ আধিকারিক ও কর্মীদের আটকে রেখে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
Home রাজ্য উত্তর বাংলা আদিবাসী গ্রামের মানুষের গ্রামে ঢুকে আদিবাসী মহিলাদের ওপর নির্মমভাবে মারধোরের অভিযোগ আবগারি...