সন্দেশখালীর ঘটনায় শেখ শাজাহানকে গ্রেফতারের পর দাঁতন থেকে তৃণমূলকে নিশানা দিলীপ ঘোষের।

0
52

পশ্চিম মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:-  যতক্ষণ না চোর ধরা পড়ে সে নেতা থাকে ভালো লোক। মুখ্যমন্ত্রী ও তখন সার্টিফিকেট দিচ্ছেন যেই পুলিশ ধরল তিনি সাসপেন্ড হয়ে গেল। শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাঁতন থেকে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সন্দেশখালীর ঘটনায় গ্রেফতার হওয়াস শেখ শাহজাহানের প্রসঙ্গ নিয়ে ঠিক এভাবেই তৃণমূলকে নিশানা করলেন মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ তথা দাপুটেড নেতা দিলীপ ঘোষ,তিনি আরো বলেন চোরেদেরকে কাধে তুলে রাখবে চোর ধরা পড়ে গেলে সাসপেন্ড করে দেবে। যখন পুলিশ ধরবে পাবলিক পেটাবে তখন সবকটাকে সাসপেন্ড করবে পার্টি।
সিআইডি হেফাজত নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, এখন চলবে জেলের ভাত অনেকদিন খেতে হবে কারণ কথা দিয়েছে এরকম করতে হবে না হলে বদনাম হয়ে যাবে দলের তাকে কথা দিয়েছে বার করে নিয়ে আসব। পার্থ বাবু কেষ্ট বাবুকে বার করতে পারেনি শাহজাহান কে করবে! অন্যদিকে আইনি জটিলতা নিয়ে চিফ জাস্টিসের মন্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, টিএমসি অনেক মিথ্যা কথা বলেছে অনেক বাহানা দিয়েছে যাতে ওকে বাঁচানো যায়। মিডিয়ার চাপ মানুষের চাপ বিজেপির চাপ তাকে বাঁচাতে পারিনি।মুখ রক্ষার জন্য ভালো করে স্তোক বাক্য দিয়ে অ্যারেস্ট করেছে।
পুলিশের জামিনের বিরোধিতা নিয়ে তিনি বলেন সবাই জানে কোথায় আছে কি করছে সন্দেশখালীর মহিলারা বলছেন ধরে দেব অথচ পুলিশ দেখতে পাচ্ছিল না।
অন্যদিকে শেখ শাহজাহান গ্রেফতারের পর কার্যত আবির নিয়ে খেলতে দেখা গিয়েছে সন্দেশখালীর মহিলাদের,সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন শাহজাহানের অত্যাচার বহু বছর ধরে চলছিল কাউকে ছাড়েনি, সব রকম ভাবে লোককে লুট করেছে বঞ্চিত করেছে। মানুষ খুশি হয়েছে তাকে অ্যারেস্ট করাতে। ৫৫ দিন ধরে আন্দোলন করেছে মহিলারা ওখানে।ওর চেলা চামুন্ডা সবকটাকে অ্যারেস্ট করতে হবে। তাঁদের সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করা হবে কারণ এরা গরিব মানুষের সম্পত্তি লুট করেছে।কৌস্তুভ বাগচীর যোগদান প্রসঙ্গে বলেন, লাভ ক্ষতি নেই অনেকেই আসে নির্বাচন এলে বিভিন্ন কারণে আসেন পার্টিতে বিজেপি নেয় সবাইকে যে ঠিক ঠাক আছে। উৎসাহিত হয়ে আসেন বিজেপির সঙ্গে কাজ করেন তাকে আমরা জায়গা দেব।
কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রসঙ্গে বলেন, পশ্চিমবাংলায় কেন্দ্র বাহিনী নাইলে ভোটই হয় না। পঞ্চায়েত ভোটে দেখলেন আপনারা কেমন লুটপাট করে নিল গণনার সময় লুট করে নিল সেই মত পশ্চিমবঙ্গ একমাত্র জায়গা যেখানে প্রথম থেকেই আমরা কেন্দ্রীয় বাহিনী ডিমান্ড করি। সব থেকে বেশি বাহিনী আসছে। ভোটারদের ভয় দেখানো হবে,গুলি বন্ধুক চলবে শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য সেন্ট্রাল বাহিনী চাই।
পাশাপাশি সাংবাদিকদের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান প্রসঙ্গে বলেন, শাহজাহানের ঘটনা নিয়ে মিডিয়া এত একটিভ হয়েছে আরও সমস্ত তথ্য বেরিয়ে আসছে। যারা মুখ খুলতো না, তাদের কথাকে সামনে পৌঁছে দিচ্ছে এতে টিএমসি ভয় পাচ্ছে। মিডিয়াকে ভয় দেখাবার চেষ্টা করছে। মিডিয়াও বুঝে গেছে, যা চলছে পশ্চিমবাংলায় এটা যদি তারা মানুষকে না দেখায় তাহলে তাদের মানুষ ক্ষমা করবে না। পাশাপশি এইদিন একটি মন্দিরে পূজো দেন এবং দেওয়াল লেখন করেন।