ঢাকা-বাংলাদেশ, নিজস্ব সংবাদদাতা:- সাহিত্যের নিরিখে ভাষা দিবসে ভারতের কথা সাহিত্যিক দিলীপ রায় বাংলাদেশ সফর করলেন । ২১শে ফেব্রুয়ারী বিমান বন্দরে নামার সাথে সাথেই তাঁকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানালেন সেই দেশের কলামিস্ট ফোরামের মহাসচিব মীর আব্দুল আলীম । ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তারপর সোজা রূপগঞ্জ প্রেস ক্লাব । সেখানে ভাষা দিবস উপলক্ষে ছিল রূপগঞ্জ সাহিত্য পরিষদের সাহিত্যানুষ্ঠান । অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেছিলেন রূপগঞ্জ সাহিত্য পরিষদের সভাপতি, শ্রদ্ধেয় আলম হোসেন । অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কলামিস্ট ফোরাম অফ বাংলাদেশের মহাসচিব মীর আব্দুল আলীম, রূপগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সম্পাদক খলিল চৌধুরী ও কলকাতার আনন্দ প্রকাশনের কর্ণধার নিগমানন্দ মণ্ডল । উল্লেখ থাকে যে, রূপগঞ্জ প্রেস ক্লাব থেকে কথা সাহিত্যিক দিলীপ রায়কে “সাহিত্য রত্ন -২০২৪” দিয়ে সম্মানিত করেন । তারপর তিনি হাজির ছিলেন লায়ন্স ক্লাবস ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশের অনুষ্ঠানে । সেখানে সভাপতিত্ব করেন লায়ন্স ক্লাবস ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশের মাননীয় গভর্ণর দেওয়ান সালাউদ্দিন বাবু । অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবিদের সমাগম ছিল নজরকাড়া । ভারতের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক ড. রামপ্রসাদ বিশ্বাস অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ।
২২শে ফেব্রুয়ারী ছিল বাংলাদেশের ঐতিহ্যপূর্ণ জাতীয় প্রেস ক্লাবে “জাতীয় সাহিত্য উৎসব-২০২৪” । কথা সাহিত্যিক দিলীপ রায় সেখানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের একুশ জন বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিককে নিয়ে । বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেক শ্রদ্ধেয় কবি ও সাহিত্যিক উপস্থিত ছিলেন । অনুষ্ঠানের সভাপতি ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের সাবেক পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী ও সংসদীয় কমিটির সভাপতি, শ্রদ্ধাভাজন গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতিক) । অনুষ্ঠানে আলোচনা, কবির কন্ঠে কবিতা পাঠ, সঙ্গীত, ইত্যাদি ছিল উল্লেখযোগ্য । কবিদের কবিতা পাঠের উপর ছিল প্রতিযোগিতা । প্রতিযোগীদের মধ্যে প্রথম দশ জনকে আর্থিক পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করা হয়। ভারতের তরফে মোট ছয় জন আর্থিক পুরস্কার পেয়ে সম্মানিত হন । তা ছাড়া সকল কবি সাহিত্যিককে মানপত্র (ফটো সহ) দিয়ে সম্মান জানানো হয়েছে । সমগ্র অনুষ্ঠানটি দেখ-ভালের দায়িত্বে ছিলেন সদস্য-সচিব মীর আব্দুল আলীম ও সম্পাদক, আবু হানিফ হৃদয় ।
তিনি মাদারীপুর জেলার রাজারচর গ্রামে গিয়েছিলেন । তাঁর সঙ্গে ছিলেন ভারতের প্রকাশক, নিগমানন্দ মণ্ডল ও মীর আব্দুল আলীম । সেই গ্রামের মানুষের সঙ্গে কথা বলেছেন । সেখানকার মানুষের আর্থিক দৈনদশা দেখে তিনি সন্তুষ্ট হতে পারেননি । তবে গ্রামের রাস্তা-ঘাট দেখে অভিভূত । তারপর সোজা অমর একুশে বইমেলা (২০২৪) । বইমেলার মূল মঞ্চে চারটি গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন । মেলায় ঘোরার সময় বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন । মেলায় ঘুরে তাঁর অভিমত, মানুষ এখনও বই ভালবাসেন । যার জন্য বইমেলায় ঠাসা ভিড় !
বাংলাদেশ সফর শেষে তাঁর অভিমত, “বাংলাদেশের মানুষ বাংলা ভাষাকে যথেষ্ট মর্যাদা দেন । বাংলা ভাষার সাহিত্যকে প্রচণ্ড সম্মান করেন । যার জন্য অমর একুশে বইমেলায় মানুষের উন্মাদনা ভীষণভাবে তাৎপর্যপূর্ণ । তা ছাড়া সাহিত্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী বন্ধন আরও সুদৃঢ় হচ্ছে ।“ তিনি আরও বলেন, “পদ্মা সেতু বাস্তবায়িত হওয়ার ফলে বাংলাদেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক পরিকাঠামোর আরো উন্নতি হয়েছে বা হচ্ছে । যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রভূত উন্নতি ঘটেছে । প্রতিবেশী দেশগুলির সাথে পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নতি ঘটার সাথে সাথে বাণিজ্যের সম্পর্কেরও প্রসার ঘটেছে ।“