পণের দাবিতে এক গৃহবধূকে স্বামীর বাড়ির লোকজনেরা মেরে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করলেন মেয়ের পরিবারের সদস্যরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা, চোপড়া:- পণপ্রথার মতন অসামাজিক ব্যাপার যে সমাজের মন থেকে এখনও মুছে যায়নি, তা চোপড়া থানার লক্ষীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মিয়াটোলা এলাকার এই খবর শুনলেই বোঝা যাবে। জানাজায় ঐ গ্রামে পণের দাবিতে এক গৃহবধূকে স্বামীর বাড়ির লোকজনেরা মেরে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করলেন মেয়ের পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগের তির খোদ ওই গৃহবধূর শশুর বাড়ির সদস্যদের উপরে । ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া থানার লক্ষীপুর সংলগ্ন এলাকা মেয়াটোলা গ্রামে।
পরিবার সূত্রে জানা যায় ২০ বছরের নেহার পারভীনের সঙ্গে রেজার বিয়ে হয়। প্রায় দুই বছর আগে বিয়ে হয়।বিয়ে হওয়ার তিন মাস পর থেকে শারীরিক নির্যাতন চালানো হত নিহার পারভীনের ওপর। অন্যদিকে পণের দাবিতেও বাড়তে থাকে অত্যাচার।

নিহার পারভীনের বাবা বলেন বিয়ের সময় সোনা গয়না মোটরবাইক থেকে আসবাবপত্র সমস্ত জিনিসপত্র দেওয়া সত্ত্বেও, আরও পণের দাবিতে অত্যাচার বাড়ায় স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ি। দিতে না পারায় একাধিকবার তাকে মারধর এমনকি ঘর থেকে বের করে দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। সাম্প্রতিককালে পঞ্চাশ হাজার টাকা না দিতে না পারায় নিহার পারভিন কে তার শশুর বাড়ির লোকজনেরা রাতের অন্ধকারে মেরে গলায় দড়ি ঝুলিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন মেয়ের পরিবারের লোকজনেরা। এই ঘটনায় মেয়ের শ্বশুর বাড়ির লোকজন পলাতক বলে জানা যায় স্থানীয়দের পক্ষ থেকে।
তবে এই বিষয়ে লক্ষ্মীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শাবানা পারভীনের স্বামী জানান কিভাবে এই ঘটনা ঘটলো তা এখনো স্পষ্ট নয়। খুব দুঃখজনক এই ঘটনা। এই ঘটনার খবর পেয়ে ছুটি আসে চোপড়া থানার দাসপাড়া আউটপুস্ট পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ইসলামপুর পুলিশ মর্গে পাঠান। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে চোপড়া থানার দাসপাড়া ফাঁড়ির পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *