প্রকাশ্য দিবালোকে অপহরণচেষ্টা! হরিশ্চন্দ্রপুরে পুলিশের ধাওয়ায় ব্যর্থ অপহরণকারীরা, আহত নাবালিকা হাসপাতালে।

মালদা, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ – —- প্রকাশ্য দিবালোকে রাস্তা থেকে তিন বছরের নাবালিকাকে অপহরণ। কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশের ধাওয়াতে ব্যর্থ চেষ্টা। পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে মোটরবাইক থেকে ফেলে দেওয়া হলো ওই নাবালিকাকে। গ্রেফতার এক অপহরণকারী।আরেকজন পলাতক। নাবালিকাকে নিয়ে গিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা করালো পুলিশ। শুরু হয়েছে ঘটনার তদন্ত। খতিয়ে দেখা হচ্ছে অপহরণের কারণ। বুধবার দুপুরে হরিশ্চন্দ্রপুরের রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের কোতল গ্রামের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জানা গেছে পার্শ্ববর্তী গ্রাম থেকে তিন বছরের ওই নাবালিকা দাদুর বাড়িতে এসেছিল। ভাই বোনেদের সঙ্গে রাস্তায় বেরিয়ে ছিল আইসক্রিম নেওয়ার জন্য। সেই সময় হঠাৎ ফিল্মি কায়দায় মোটর বাইকে করে দুই যুবক এসে ওই নাবালিকাকে নিয়ে চম্পট দেয়। এলাকার মানুষ পিছু ধাওয়া করে। খোঁজ দেওয়া হয় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশকে। পুলিশ হরিশ্চন্দ্রপুর থেকে বেরোনোর সব গুলো পথ ঘিরে নেয়।পার্শ্ববর্তী চাঁচল থানার পুলিশকেও খবর দেওয়া হয়।বিহারের বিভিন্ন নাকা চেকপোস্ট পুলিশ ঘিরে ফেলে। তারপরেই জালে আসে অপহরণকারীরা। পুলিশকে দেখে মোটরবাইক থেকে ওই নাবালিকাকে ফেলে দেয় তারা। তারপর পালানোর চেষ্টা করে। একজন পালিয়ে গেলেও আরেকজনকে ধরে ফেলে পুলিশ। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার এসআই জাকির হোসেনের নেতৃত্বে মেলে এই সাফল্য। ধৃতের নাম ছোটন নাগ। বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকায়। এর আগেও বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ছিল ওই যুবক। অন্যদিকে মোটরবাইক থেকে ফেলে দেওয়ার ফলে মাথায় চোট পায় ওই নাবালিকা। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে।আইসি মনোজিৎ সরকার, এসডিপিও সোমনাথ সাহা দাঁড়িয়ে থেকে নাবালিকার চিকিৎসা করান। পরিবারের লোকেরাও সেখানে পৌঁছায়। জানা গেছে এখন সুস্থ আছে ওই নাবালিকা। মেয়েকে ফিরে পেয়ে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে পরিবারের লোকেরা। এর আগেও ঠিক একই কায়দায় এক ব্যবসায়ীর সন্তানকে অপহরণ করা হয়ে ছিল। সেক্ষেত্রেও কয়েক ঘণ্টার মধ্যে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে উদ্ধার করে ছিল। তবে এবার এলাকা থেকে বেরোনোর আগেই ছক ভেস্তে দিলো পুলিশ। আরেক অপহরণকারীর খোঁজে চলছে তল্লাশি। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে অপহরণের কারণ নিয়ে। শুরু হয়েছে তদন্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *