স্থিত ও নিয়ন্ত্রিত : কমলিকা দত্ত।

প্রশ্ন করলে রেনেসাঁ আসতে পারে —
সামাজিক স্থিতি বজায় রাখাই সুস্থ মনের পরিচয়–
কোনো জাগরণই কাঙ্খিত নয় জেনো,
তাই চারিদিকে সবই মৃত…

মস্তিষ্কেও পাচনতন্ত্র আছে!
সংস্কারের ঢেকুর যদি বা ওঠে,
পরিপাকে সেই ঘুরপাক খায় থোড় বড়ি আর খাড়া,
উৎসেচকের ভূমিকায় থাকা আবেগ–
বহু আগে থেকে নিরেট যুক্তিসিদ্ধ…
যদিও, যুক্তি পাবে না আবেগের স্বীকৃতি —
এসবে বদহজমেরই সংকেত–
নিশ্চিত আনুগত্য, অযথা আন্দোলিত –
ইডিওলজির কব্জায় থাকো ল্যাজবিশিষ্ট হয়ে–

জিজ্ঞেস করো— মৃত্যুর রঙ বেগুনি হবে না কেন?
ব্যাখ্যায় সব স্থির,আগা থেকে গোড়া স্থাণু–
উৎসব হলে সবুজ হলুদ ইত্যাদি ইত্যাদি —
মৃত্যুর রঙ সাদা অথবা কালো–
আজন্ম চোখ যা কিছু দেখছে মানিয়ে নেওয়াই ভালো।

শুনেছি, অনেক মৃতের কাঁধে ভর দিয়ে শ্রেষ্ঠ জন্ম নেয়–
এই আশাটুকু এখনো জীবিত আছে,
মৃতভস্মের বুক চিরে যদি স্ফুলিঙ্গ জ্বলে ওঠে!
বিশ্বাস হবে, বজায় রয়েছে বিবর্তনের ধারা…
নাহলে, প্রশ্ন চিরো উন্মুখ – হোমো স্যাপিয়েন্স কারা?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *