গলায় মাতৃদায়ের কাছা,সাধারণ কে সচেতন করতে মাস্ক হাতে রাজপথে করজোড়ে আবেদন।

সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং – সদ্য প্রয়াত হয়েছেন মা,সেই মাতৃদায়ের কাছা রয়েছে গলায়। এমনই এক ব্যাক্তিকে রাজপথে করজোড়ে সচেতন করতে দেখা গেল।পাশাপাশি মাস্কহীন অসচেতন মানুষকে করজোড়ে সচেতন করে তাদের হাতে তুলেদিলেন মাস্ক।বৃহষ্পতিবার এমন ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। সাধারণ সচেতন মানুষজন কুর্ণিশ জানিয়েছেন ওই ব্যাক্তিকে।ঘটনাস্থল ক্যানিং থানার অন্তর্গত হেড়োভাঙ্গা গ্রাম। গ্রামেরই যুবক বলাই চন্দ্র মহান্তী(মিত্র)।তাঁর মাতৃদেবী লক্ষ্মী রাণী মহান্তী বার্ধক্যজনিত কারণে সদ্য প্রয়াত হয়েছেন। শোকস্তব্দ্ধ তাঁর গোটা পরিবার। কিন্তু সেই শোক উপেক্ষা করে সাধারণ মানুষের কল্যানে মাস্ক হাতে রাজপথে নেমে পড়েন।পথচলিত মাস্কহীন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন যানবাহনে যাতায়াতকারী সাধারণ যাত্রীদের কে করোনা মহামারীর ভয়াবহতা নিয়ে সচেতন করেন।পাশাপাশি মাস্কও তুলে দেওয়া হয় ওই ব্যাক্তির তরফ থেকে।সকাল থেকে বিকাল অবধি এমনটাই চলছিল ক্যানিংয়ের হেড়োভাঙ্গা বাজার এলাকায়।
কেন এমন উদ্যোগ? এ প্রসঙ্গে বলাই চন্দ্র মহান্তী(মিত্র) জানিয়েছেন ‘আমি রাজনীতির সাথে যুক্ত। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে তাঁদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি।বর্তমানে করোনা মহামারীর বাড়বাড়ন্ত চলছে দ্রুততার সাথে।তা স্বত্বেও কিছু কিছু মানুষ মাস্ক হীন ভাবে যত্রতত্র ঘোরাফেরা করছেন।এছাড়াও কেউ হাতে,কেউ কানে,থুতনিতে কেউ আবার পকেটে করে মাস্ক নিয়ে রেখেছে। মুখে পরছেন না।এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে আক্রান্তের সংখ্যাটা দ্রুতহারে বাড়তে থাকবে।সমাজের প্রতি আমার একটা দায়বদ্ধতা রয়েছে বলে মনে করি।পাশাপাশি এলাকায় যাতে করে করোনা সংক্রমণ না ছড়ায় তারজন সচেতন করার উদ্যোগ নিয়েছি।আগামী দিনেও এমন সচেতনতার কাজ করে যাবো। কারণ মৃত্যু বড়ই বেদনা দায়ক। যাতে করে কোন মানুষ করোনা সংক্রমিত হয়ে মৃত্যুমূখী না হয় সেই জন্যই আমার সচেতনতা জারী থাকবে।’
মাতৃশোকে শোকাহত হয়েও সামাজিক দায়বদ্ধতা কে পাথেয় করে যিনি রাজপথে সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন তাঁকে প্রশংসা করার মতো কোন ভাষা নেই বলে জানিয়েছে আসমত মোল্লা,আনার মোল্লা,গৌতম পুরকাইত,বিমল মহান্তী,মঙ্গল সরদারদের মতো সাধারণ মানুষজন।
তাঁদের দাবী ‘বলাই বাবুর কর্তব্য কে পাথেয় করে সকল কে এগিয়ে আসতে হবে। এবং মহামারীর বিরুদ্ধে সচেতনতার বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন।ফলে সংক্রমণ যতই আক্রমণাত্মক হোক না কেন সচেতনতাই একমাত্র রক্ষাকবচ।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *