বিধায়কের বেতনের টাকায় কেউ ঘুরছেন কাশি, কেউ বা বৃন্দাবন আবার কেউ বা যাচ্ছেন হজে।

সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং – কথায় আছে বাঙালির পায়ের তলায় সরষে। তাই সে যে ধর্মের মানুষ হোক বা আর্থিক অবস্থা যেমনই হোক না কেন ঘুরতে যেতে মন চায় না এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়াই দুষ্কর। শেষ বয়সে কাশী, বৃন্দাবন দর্শন করার ইচ্ছা নেই এমন হিন্দু বাঙালি খুঁজে পাওয়া মুশকিল। হজে গিয়ে হাজির হয়ে আসতে মন চায় না এমন ধর্মপ্রাণ মুসলিম কে এই বঙ্গে পাওয়া ভার। কিন্তু তীর্থ করতে গেলে সব সময় পকেটের টান পড়ে। আর্থিক দুরবস্থা জন্য তাই অনেকেই সে পথেই পা বাড়ানোর ইচ্ছা থাকলেও হয় না। আর এইসব দুরবস্থা ধর্মপ্রাণ মানুষের ইচ্ছা পূরণ করতে উদ্যোগী হলেন স্বয়ং বিধায়ক। তাই কারোর জন্য ব্যবস্থা করেছেন মথুরা, কাশী, বৃন্দাবন। আবার কারো জন্য ব্যবস্থা করেছেন হজে যাওয়া বা আজমীর শরীফে যাওয়া। বিধায়কের দেওয়া পয়সাতে ধর্মস্থান ঘুরতে পেরে খুশি সেই সব মানুষরা। আর কিছু গরিব মানুষকে তীর্থযাত্রা ব্যবস্থা করতে পেরে আনন্দিত ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশরাম দাস।

নির্বাচনে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ভোটে জেতার পর তাঁর বিধানসভা এলাকায় আর্থিকভাবে দুরবস্থা এমন মানুষদের কে তীর্থযাত্রার ব্যবস্থা করবেন। সেই প্রতিশ্রুতি মত বেশ কিছু মানুষকে তীর্থযাত্রার জন্য আর্থিক সাহায্য করলেন। এ বিষয়ে ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক  পরেশ রাম দাস বলেন, আমি বিধায়ক হিসেবে যে টাকা বেতন পাই সেই টাকার কিছু অংশ গরীব মানুষ কে দিয়ে বিভিন্ন তীর্থস্থান ভ্রমণ করানোর ব্যবস্থা করি। এটা আমার বিধায়ক কোটার টাকা থেকে নয় নিজের সরকারি বেতন থেকেই এই কাজ আমি করে থাকি। বিধানসভা এলাকায় যে সমস্ত সমাজসেবামূলক কাজ আমি করে থাকি তার মধ্যে এটি একটি অন্যতম।
এই বিষয়ে মূলতঃ ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভা এলাকায় বাসিন্দা হতে হয় সেই ব্যক্তি কে। ইচ্ছুক ব্যক্তি যেখানে ঘুরতে যাবেন সেই পরিবহনের টিকিট জেরক্স করে এনে বিধায়কের কাছে দিলেই মিলবে অর্থ। প্রতি বছর ১০-১২ জন  ব্যাক্তি এই সুবিধা পেয়ে থাকবেন। তিনি যতদিন বিধায়ক থাকবেন এই কাজ চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *