শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অনিয়মের অভিযোগ তুলে স্কুল গেটে তালা ঝুলিয়ে এক শিক্ষককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন স্কুল পড়ুয়া ও অভিভাবকেরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ- প্রাইমারি টেট ও এসএসসি দুর্নীতি নিয়ে সরগরম বাংলার রাজ্য রাজনীতি। কোভিড মহামারী কালে প্রায় দুই বছর ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। মধ্যেখানে কয়েক মাসের জন্য স্কুল খুললেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অতিগরমের জন্য দুই ধাপে মোট ৫৬ দিন আবার স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।গরমের ছুটির পর ২৭ জুন সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে যায়।আজ ছিল স্কুল খোলার দ্বিতীয় দিন।মঙ্গলবার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অনিয়মের অভিযোগ তুলে স্কুল গেটে তালা ঝুলিয়ে এক শিক্ষককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন স্কুল পড়ুয়া ও অভিভাবকেরা।চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাংরুয়া ভবানীপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

গ্রামবাসীদের অভিযোগ,স্কুল শিক্ষক ও শিক্ষিকারা নিয়মিত স্কুল আসে না।আজ সকাল সোয়া এগারোটা পেরিয়ে গেলেও স্কুলে কোনো শিক্ষক-শিক্ষিকার দেখা পাওয়া যায়নি।ছাত্র ছাত্রীরা সাড়ে দশটা থেকে স্কুল গেটের সামনে কেউ বা রাস্তার ধারে কেউ বা চায়ের দোকানে স্কুল গেট খোলার অপেক্ষায় বসে থাকে।ভালুকাগামী রাজ্য সড়কের ধারে স্কুলটি হওয়ার জন্য রাস্তা পারাপার বা ছুটোছুটি করতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা অভিভাবকদের।এদিন দুপুর বারোটা নাগাদ ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকা নন্দিনী দাস স্কুলে আসলে অভিভাবকরা তার দেরি হওয়ার কারণ জানতে চাইলে সে কোনো উত্তর না দিয়ে আবার বাড়ি চলে যায় বলে অভিযোগ।

অভিভাবকদের আরো অভিযোগ,স্কুলে সরকারি নির্দেশিকা মেনে মিড ডে মিলে সে রকম পুষ্টিকর খাওয়ার দেওয়া হয় না।ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকাকে এর আগে মৌখিকভাবে অভিযোগ জানালেও কোনো কর্নপাত করেনি।

ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকাকে নন্দিনী দাস জানান,স্কুলের কাজেই ব্যাঙ্কে গিয়েছিলেন।আবার এই সময় বৃষ্টি শুরু হলে তাই স্কুল আসতে দেরি হয়ে যায়। সাড়ে এগারোটা নাগাদ স্কুলে আসলে অভিভাবকরা স্কুল গেটে তালা ঝুলিয়ে রাখে।স্কুলে ঢুকতে বাধা দেয়।তাই বাধ্য হয়ে বাড়ি ফিরে আসতে হয়।

হরিশ্চন্দ্রপুর চক্র-১ এর এস আই শর্মিলা ঘোষ ফোনে জানান,সাড়ে দশটার মধ্যে শিক্ষক শিক্ষিকাদের স্কুলে উপস্থিত হতে হবে।পোনে এগারোটার মধ্যে প্রার্থনা ও এগারোটার মধ্যেই ক্লাস শুরু করার নির্দেশিকা রয়েছে।অভিভাবকদের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলেই বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *