রায়গঞ্জের কান্তনগর থেকে উদ্ধার হল হিমালায়ন গ্রীফন ভালচার।

উঃ দিনাজপুর, রাধারানী হালদারঃ- রায়গঞ্জ বন্দর শ্মশান সংলগ্ন ইসকন মন্দিরের পাশে কান্তনগর থেকে উদ্ধার হল একটি হিমালয়ান গ্রিফন ভালচার ।এই শকুনটি একেবারেই লুপ্তপ্রায় প্রজাতির একটি শকুন। শকুনটি কান্তঃনগর এর পাশে কুলিক নদীর বাঁধে গত তিন চার দিন ধরে ঘোরাফেরা করছিল। শকুনটি হয়তো অসুস্থ ,কারণ সেটি উড়তে পারছে না। ডান পায়ে চোট আছে । সেখানকার স্থানীয় লোকেরা কয়েক দিন ধরেই শকুনটিকে দেখতে পাচ্ছিল ।আজকে ইসকন মন্দিরে থেকে ফেরার সময় রায়গঞ্জ রামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক বিভু দাস মহাশয় শকুন টিকে দেখতে পেয়ে সেটিকে উদ্ধারের জন্য খবর দেন উত্তরদিনাজপুর পিপল ফর এ্যানিমেলস এর অফিসে। খবর পেয়েসংস্থার সম্পাদক গৌতম তান্তিয়ার নেতৃত্বে একটি টিম সেখানে গিয়ে শকুন টিকে উদ্ধার করে সংস্থার পশু এম্বুলেন্সে রেসকিউ করে নিয়ে আসে। সংসার সদস্য নিবারণ দেবনাথ ,সৈকত সাহা অগ্নি মোদক, রাজন শর্মা এই উদ্ধার কার্যের সময় উপস্থিত ছিলেন ।উদ্ধার করার পর শকুনটিকে রায়গঞ্জ ওয়াইল্ড লাইফ স্যাংচুয়ারি তে বনদপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এই ধরনের শকুন অতীতে প্রচুর পরিমাণে ছিল কিন্তু এখন ডাইক্লোফিনিক ওষুধের প্রভাবে এদের প্রজাতি একেবারেই বিলুপ্তপ্রায় । সমগ্র পশ্চিমবঙ্গে এখন শকুনের সংখ্যা মাত্র ৩০০ থেকে ৪০০ এর কাছাকাছি। তাই এদের সংরক্ষণের বিশেষ প্রয়োজন। সংসার পক্ষ থেকে স্থানীয় মানুষকে সচেতন করা হয় যে তারা যেন এই ধরনের কোন বন্যপ্রাণী বা পাখিকে অসুস্থ অবস্থায় দেখলে যেন বনদপ্তর বা পশুপ্রেমী সংস্থায় ফোন করে জানায়। নেপাল ,ভুটান ছাড়াও উজবেকিস্তান, কাজাকাস্তান ,পাকিস্তান থাইল্যান্ড ,বার্মা এইসব জায়গায় এই ধরনের শকুন দেখা যায়। পক্ষী বিশেষজ্ঞদের মতে উত্তর দিনাজপুর জেলায় এই ধরনের শকুন খুবই কম দেখা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *