সুভাষ চন্দ্র দাশ, ক্যানিং :-পালিত হল জাতীয় মৎস্য চাষী দিবস। প্রদীপ প্রজ্জোলনের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের মহারাজ স্বামী শিবপূর্ণনন্দজী।অন্যান্য বিশিষ্টদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মৎস্য শিক্ষা সংস্থানের প্রধান বিজ্ঞানী ডঃ গৌরহরি পৈলান, শস্য শ্যামলা কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের বিজ্ঞানী নারায়ণ চন্দ্র সাহু,বিজ্ঞানী ডঃ পার্থ সারথী ব্যানার্জি,বিজ্ঞানী ডঃ প্রতাপ কুমার মুখোপাধ্যায়, বিজ্ঞানী ডঃ গৌরাঙ্গ বিশ্বাস সহ কেন্দ্রীয় মৎস্য শিক্ষা সংস্থান অন্যান্য বিজ্ঞানী ও আধিকারিকগণ।
উল্লেখ্য সুন্দরবন সহ রাজ্যে কৃষিকাজের পাশাপাশি মাছ চাষের উপর নির্ভরশীল হয়ে ঝুঁকে পড়েছেন অসংখ্য মানুষ। রাজ্যের মৎস্য দফতর সেই সমস্ত চাষীদেরকে আগামী দিনে আরো উন্নয়নের জন্য এবং রাজ্যের মাছ চাষকে জাতীয় স্তরে নিয়ে যাওয়ার জন্য নানান পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।অন্যদিক প্রান্তিক মৎস্য চাষিদের যাতে করে প্রথম সারিতে নিয়ে আসা যায় তেমনই উদ্যোগ গ্রহণ করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে রবিবারের অনুষ্ঠানে। ছোট ছোট স্বদেশী মাছ আরো বেশি করে চাষ করা ও বাজারে নায্য দামে বিক্রির ব্যবস্থা করে দেবেন কেন্দ্রীয় মৎস্য শিক্ষা সংস্থান। যাতে আগামী দিনে বেশি পরিমানে মাছ ও বিভিন্ন প্রজাতির মাছ উৎপাদন হয় সেই লক্ষ্যে হাঁটছেন কেন্দ্রীয় মৎস্য শিক্ষা সংস্থান । এদিন জাতীয় মৎস্য চাষী দিবস অনুষ্ঠানে রাজ্যের পাঁচ জন উদ্যোগী মৎস্য চাষীকে সম্মানিত করা হয়। এছাড়াও যে সমস্ত প্রান্তিক মৎস্য চাষীরা নিজেরা স্বাবলম্বী হয়েছেন মাছ চাষ করে এবং সেই সাথে আরো মৎস্য চাষীদেরকে আশার আলো দেখাচ্ছেন এমনই মৎস্য চাষীদেরও সম্মানিত করা হয়। মৎস্য চাষীরা আগামী দিনে মাছ চাষের উপর যাতে মৎস্য ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তুলতে পারে সেই লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগিয়ে চলছেন কেন্দ্রীয় মৎস্য শিক্ষা সংস্থানের বিজ্ঞানীরা। ইতিমধ্যে বিভিন্ন মাছের প্রোডাক্ট তৈরি করছেন তাঁরা। মাছ দিয়ে তৈরি করেছেন আচার যা ইতিমধ্যে সাধারণ মানুষের মধ্যে চাহিদা বাড়ছে। আগামী দিনে এই মাছের আচার বিদেশে রপ্তানি করা হবে। যাতে করে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রান্তিক মৎস্য চাষিরা সরাসরি প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রোডাকশন করতে পারবেন এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় মৎস্য সংস্থানের আধিকারিকরা। এছাড়াও মাছ চাষের জন্য খাবার তৈরির উপর বিশেষ জোর দেন আধিকারিকরা। মৎস্য চাষীরা নিজেদের ঘরেতেই মাছ চাষের জন্য খাবার তৈরি করতে পারবেন। যে খাবার বাজার থেকে কিনতে হয় বেশি দামে। এর ফলে একদিকে যেমন খরচ কম হবে তেমন লাভ বেশি হবে। এর ফলে একদিকে যেমন প্রান্তিক মৎস্য চাষিরা লাভবান হবেন তেমন মাছ চাষের উপর মানুষের আগ্রহ বাড়বে। স্বদেশী মাছের চাষ আরো বেশি করে বাড়বে এবং তার ফলে সুন্দরবন সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের প্রান্তিক মৎস্য চাষিদের আর্থিক স্বচ্ছলতা বৃদ্ধি পাবে।
পালিত হল জাতীয় মৎস্য চাষী দিবস।

Leave a Reply