হাঁস চাষে বাজিমাত গ্রাম্য বধূদের।

সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং – হাঁস পালন করে স্বনির্ভর হয়ে উঠছেন গ্রামের বধুরা। শুধু স্বনির্ভর নয়,রীতিমতো বাজিমাত করে দিচ্ছেন।ক্যানিং ১ ব্লকের দুমকী পূর্বপাড়া,ডাবু,জয়রামখালি,বেলেখালি,নলিয়াখালি,গোপালপুর,নিকারীঘাটা সহ বিভিন্ন গ্রামে পালিত হচ্ছে উন্নত প্রজাতির পেরী হাঁস।
দুমকী পূর্বপাড়ার গৃহবধু স্নিগ্ধা ওরফে মাম্পী সরদার জানিয়েছে ,সংসারের তাগিদে বাড়ির পুরুষরা ভিনরাজ্যে কাজে যেতেন। করোনা আর লকডাউনের জোড়া ফলায় সেই সমস্ত কাজ ছেড়ে বাড়িতে বসে থাকতে হয় তাদের কে।সংসারের হাল সামলাতে উত্তর ২৪ পরগনার মালঞ্চ থেকে এই পেরী হাঁসের বাচ্চা কিনে এনে হাঁস পালন শুরু করি। প্রথম ৬ মাস খুব কষ্ট হয়েছিল। তারপর হাঁস ডিম দেওয়ায় অর্থনৈতিক সমস্যা মিটতে শুরু করে। এখন আমরা গৃহবধুরা হাঁস পালন করে অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী হতে পারায় পাড়ার অন্যান্যরাও এই হাঁস পালনে এগিয়ে আসছে।
জানা গিয়েছে মূলত এই পেরী হাঁস ৬-৭ মাস বয়স থেকে ডিম দিতে শুরু করে।পূর্ণ বয়স্ক একটি হাঁসের ওজন সর্বোচ্চ প্রায় ৬ কেজি হয়ে থাকে। বছরে প্রায় ৩০০ দিন ডিম দেয়।আবার এই হাঁসের মাংস ও সুস্বাদু। বাজারে চড়াদামে বিক্রি হয়।
ফলে বর্তমানে এই পেরী হাঁস পালন করে দিশা দেখাচ্ছেন গ্রাম বাংলার গৃহবধুরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *