সাত সকালেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ডে, সরকারি বাস চালকের গাফিলতিতে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির গুরুতর আহত আরও এক।

পশ্চিম মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:- স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকালে মেদিনীপুরের সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ডে বাস দাঁড় করিয়ে সঠিকভাবে ব্রেক না দিয়ে নেমে পড়েছিলেন বাসের চালক। তারপরেই বাসের বনেট খোলার চেষ্টা করে খালাসী। কিন্তু দাঁড়িয়ে থাকা বাস হঠাৎই পেছনে পিছিয়ে গিয়ে পিস্ট করে দিল বাবা ও ছেলেকে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার সকাল সাতটা নাগাদ মেদিনীপুর সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ডে এসে পৌঁছায় যাত্রিবাহী একটি সরকারি বাস। যাত্রী নামা শুরু করতেই ওই বাসের চালক বাসটিকে দাঁড় করিয়ে বাথরুমে চলে যান। এরপর কন্ডাক্টার গাড়ির বনেট খুলে মালপত্র বের করার চেষ্টা করে। বাসের চালক হ্যান্ড ব্রেক না মেরে রাখায় সেই মুহূর্তে বাসটি পেছনে গড়াতে শুরু করে। সেই সময় সরকারি বাসের পেছনে আরো একটি বাস দাঁড়িয়েছিল। সরকারি বাসের পেছন দিয়ে বাবা ও ছেলে হেঁটে যাওয়ার সময় দুটো বাসের মাঝখানে পড়ে গেলে পিষ্ট হয়। কোনো রকমে বাসস্ট্যান্ডে থাকা অন্যান্য গাড়ি চালক সরকারি বাসটি এগিয়ে নিয়ে গেলে বাবা বাবা ও ছেলে দু’জনকেই উদ্ধার করে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে চিকিৎসা চলা কালীনই মৃত্যু হয় বছর ৪০ এর রাজনারায়ণ সামন্তের। গুরুতর আহত অবস্থায় মেদিনীপুর মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রাজ নারায়নের ও বাবা।

অন্য বাসের চালক ও প্রত্যক্ষদর্শী শেখ রাজু বলেন, সরকারি বাসের ওই চালক বাস দাঁড় করানোর সময় হ্যান্ডব্যাগ না মেরে বাথরুমে চলে গিয়েছিলেন কন্টাকটার বিষয়টি বুঝতে না পেরে বনেট খোলার চেষ্টা করতে গিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিজের ভুল স্বীকার করেছেন ওই সরকারি বাসের চালক শ্রীকান্ত মন্ডল। তিনি বলেন কোন ভাবে বনেট খোলার সময় নিউট্রাল হয়ে যাওয়ায় বাসটি পেছনের দিকে গড়িয়ে গেলে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *