বিএসএফের উদাসীনতার কারণেই মালদা মেডিকেল কলেজের সামনেই পড়ে রয়েছে এক বাংলাদেশীর মৃতদেহ এমনই অভিযোগ পরিবারের।

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা:- বিএসএফের উদাসীনতার কারণেই মালদা মেডিকেল কলেজের সামনেই পড়ে রয়েছে এক বাংলাদেশীর মৃতদেহ এমনই অভিযোগ পরিবারের। কাগজপত্র বৈধ থাকা সত্ত্বেও মৃতদেহ ভারত থেকে বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে হয়রানি করছে হিলি সীমান্ত এলাকার বিএসএফের একাংশ বলে অভিযোগ পরিবারের । তাই এখন মালদা মেডিকেল কলেজের মর্গের সামনে কফিনবন্দি দেহ রেখে মৃতের আত্মীয়রা ছুটেছেন কলকাতায় বাংলাদেশের হাইকমিশনারের অফিসে। সেই কমিশনারের অফিসের চিঠি না পাওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশী নাগরিকের মৃতদেহ ভারত থেকে ওপারে নিয়ে যাওয়া যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর এলাকার হিলি বর্ডার সীমান্তের বিএসএফ কর্তৃপক্ষ। যার জেরে এখন চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন মৃত বাংলাদেশীর পরিবারের আত্মীয়েরা।
পুলিশ ওই স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই বাংলাদেশীর নাম শ্রীমন্ত কর্মকার (৫১)। তাঁর বাড়ি বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তপুর এলাকায়। গত মঙ্গলবার বৈধ কাগজপত্র নিয়েই ভারতে প্রবেশ করেছিলে ওই বাংলাদেশী। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে আচমকায় মালদা শহরের বুড়াবুড়ি তলা এলাকার এক আত্মীয়ের বাড়িতেই ওই বাংলাদেশি নাগরিক অসুস্থ হয়ে পড়েন। তড়িঘড়ি তাকে মেডিকেল কলেজে ভর্তি করানো হলে, পরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় ওই বাংলাদেশীর। এরপরে বৃহস্পতিবারই মৃতের ময়না তদন্ত করা হয় । পরে প্রশাসনিকভাবে সমস্ত কাগজপত্র তৈরি করেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি সীমান্ত দিয়ে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগী হয় পরিবারের লোকেরা । আর তাতেই দেখা দেয় চরম জটিলতা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *