দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, নিজস্ব সংবাদদাতা:- আমি পরিতোষ মণ্ডল ডায়মন্ড হারবার ব্লকের অন্তর্গত শিবপুর গ্রামের বাসিন্দা আমাদের নির্ভরশীল পেশা মৎস্যজীবী আমি এক মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে বাবা ছোট থেকে কৃষি কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তারপর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে যাওয়ার পরে পরিবারের ভার এসে আমার উপর পড়ে তাই আমি ডায়মন্ড হারবার ফিশিং ল্যান্ডিং সেন্টার থেকে মাছ ধরা শুরু করি। প্রায় দীর্ঘ ১৮ থেকে ২০ বছর আমি সমুদ্রের মাছ ধরতে যাই।
আমি এখন মৎস্য ডলারের ড্রাইভার আমাদের প্রতিনিয়ত সমুদ্রের পাড়ি দিতে হয়। কখনো রোদ কখনো জল বৃষ্টি মাথায় নিয়ে আমরা সব সময় নদীতে মাছ ধরি আমরা কখনো আমাদের লাইফ ইন্সুরেন্স বা নৌকো অথবা ট্রলারের ইন্সুরেন্স সম্বন্ধে জানতাম না আমাদের এখানে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে কিছু ভার্চুয়াল ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে প্রোগ্রাম করা হয়। আমরা প্রতিনিয়ত ওই প্রোগ্রামগুলি থেকে অনেক কিছু জানতে পারি যেমন আমরা কিভাবে নিজেদেরকে সুরক্ষিত রেখে মাছ ধরতে পারি বা নিজেদের লাইফ ইন্সুরেন্স করতে পারি বা আমাদের যে মাছ ধরার ট্রলারটি রয়েছে তার ইন্সুরেন্স বা লাইসেন্স রেনুয়াল করতে পারি। কোথায় যোগাযোগ করতে হবে এই সমস্ত বিষয়ে আমাদের সামনে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন এক গুচ্ছ প্রোগ্রামের মাধ্যমে আমাদের সামনে তুলে ধরেছে। যে ইন্সুরেন্সের মাধ্যমে আমরা ক্ষতিপূরণ পেতে পারি প্রতিবছরে আমাদের এই মৎস্য ট্রলারের ইন্সুরেন্স করতে হয় ৩৮০০ টাকা দিয়ে। তাহলে আমরা কোন ক্ষয়ক্ষতি হলে তার ক্ষতিপূরণ বাবদ কিছু টাকা সরকার থেকে পেতে পারি। এছাড়া রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন থেকে মৎস্যজীবীদের জন্য সরকারি স্কিম এর উপরে নানা রকমের প্রোগ্রাম করেন ও আমাদের যেটি প্রয়োজন weather information যেটির মাধ্যমে আমরা সমুদ্রের গতিবিধি বা ঝড় বা ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আগে থেকে জানতে পারি এটি না হলে আমাদের অনেক ক্ষতি সম্মুখীন হতে হতো আমরা সেই সুবিধাটা সম্পূর্ণ রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন এর ভয়েস মেসেজ এর মাধ্যমে প্রতিনিয়ত প্রতিদিন আমরা এখন ওয়েদার রিপোর্ট গুলো নিজেদের মোবাইলের মাধ্যমে জানতে পারছি। যার কারণে আপনাদের প্রতিনিয়ত ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করতে পারছি। এবং নিজেদের ট্রলার গুলিকে নিরাপদ স্থানে আগে থেকে সরিয়ে নিয়ে যেতে পারছি। আমাদের প্রতিনিয়ত এই একটা বড় ক্ষতি হতো যখন আমরা এই সমস্ত ওয়েদার ইনফরমেশন পেতাম না। এখন সেই ক্ষতি ক্ষতি হাত থেকে আমরা প্রায় অনেকটাই এড়িয়ে যেতে পারছি বা নিজেদের ব্যবসাকে অনেক বড় জায়গায় পৌঁছতে পারছি। তাই রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনকে অসংখ্য ধন্যবাদ এইভাবে মৎস্যজীবীদের কে প্রতিনিয়ত ওয়েদার রিপোর্ট এর মাধ্যমে সতর্কবার্তা দেওয়ার জন্য।
রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম থেকে উপকৃত এক মৎস্যজীবী।

Leave a Reply