পঞ্চায়েতের নতুন ভবন শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে চাকরির দাবি জমি দাতা মৃত মৈনুদ্দিন সেখের ছেলে আনসারুল হকের।

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ—-পঞ্চায়েতের নতুন ভবন শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে চাকরির দাবি জমি দাতা মৃত মৈনুদ্দিন সেখের ছেলে আনসারুল হকের। হাইকোর্টের অর্ডার থাকা সত্ত্বেও পঞ্চায়েত ও‌ জেলা কেন তাকে নিয়োগ করাচ্ছেন না তা তিনি এক রাশ ক্ষোভ উগড়ে দেন পঞ্চায়েত ও ব্লক আধিকারিকদের সামনে।জানা যায়,মঙ্গলবার ছিল হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নতুন ভবনের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠান।এই উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তজমুল হোসেন, হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের বিডিও অনির্বাণ বসু,পঞ্চায়েত প্রধান জৈনব নেশা,অঞ্চল সভাপতি পঙ্কজ কুমার দাস ও পঞ্চায়েতের
প্রাক্তন ও বর্তমান কর্মচারীগণ সহ সকল পঞ্চায়েত সদস্য।সেই শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ডাক পড়েছিল হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দা তথা জমি দাতা মৃত মৈনুদ্দিন সেখের ছেলে আনসারুল হকেরও।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,১৯৮১ সালে তৎকালীন কংগ্রেস প্রধান ইউসুফ সেখের আমলে আনসারুল হকের বাবা মৃত মৈনুদ্দিন সেখ পাঁচ কাঠা জমি পঞ্চায়েত ভবন তৈরির জন্য দান করেছিলেন।সেই সময় পঞ্চায়েত প্রধান ও সরকারি আমলারা লিখিত আকারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তার পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়া হবে।দীর্ঘ ৪১ বছর কেটে গেলেও চাকরি জোটেনি জমির মালিক পরিবারের।

আনসারুল হক জানান,তার বাবার দানকৃত জমির উপরে গড়ে উঠেছে মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস।চাকরির জন্য সরকারি অফিসের দরজায় দরজায় ঘুরে ১৯৯৫ সালে মারা গিয়েছেন বাবা মইনুদ্দিন শেখ।তাঁর ছেলেও বাবার মতোই ঘুরে যাচ্ছেন সরকারি অফিসের এ টেবিল থেকে ও টেবিল।কিন্তু তিনি এখনও জানেন না চাকরি আদৌ হবে কি না।

আনসারুল‌ হকের অভিযোগ,সে সময় সরকারি লোকেদের কথায় বিশ্বাস করে বাবা জমি দিয়েছিলেন।সে তখন ছোট। বাবার কাছে শুনেছিল জমি নেওয়ার জন্য সে সময় পঞ্চায়েতের প্রধান থেকে শুরু করে সরকারি অফিসাররা বাবার কাছে রোজই যেতেন।অথচ জমি পাওয়ার পর চাকরির প্রতিশ্রুতির কথা তাঁরা ভুলে যায়। তারপরে পঞ্চায়েতেও পালা বদল হয়েছে কিন্তু তাদের কোনও সুরাহা হয় নি। হাইকোর্ট তাকে নিয়োগের জন্য অর্ডার দিলেও নিয়োগ করাচ্ছেন না জেলা ও পঞ্চায়েত।চাকরির জন্য সরকারি অফিসে দরজায় দরজায় এখনও ঘুরে চলেছেন আনসারুল বাবু।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *