ফের কেশপুরে শাসক দলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের যখন কয়েকজন পুরুষ ও মহিলা, অভিযোগ শিউলি সাহা অনুগামীদের বিরুদ্ধেই।

পশ্চিম মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে ফের শাসক দলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা বুধবার সকালে । ঘটনায় বেশ কয়েকজন মহিলা ও পুরুষ জখম হয়ে ভর্তি হলেন মেদিনীপুর হাসপাতালে। আক্রান্তদের অভিযোগ “তৃণমূল বিধায়ক শিউলি সাহা ও তৃণমূল ব্লক সভাপতি অনুগামিরা আক্রমণ করেছে”। অভিযোগ অস্বীকার করে ব্লক তৃণমূল সভাপতির দাবি “এটা পারিবারিক ঘটনা”। মঙ্গলবার কেশপুরের খেতুয়া এলাকাতে তৃণমূলের একটি গোষ্ঠীর পিকনিকের আয়োজন করা হয়েছিল। পিকনিকে স্পট সংলগ্ন এলাকায় থাকা তৃণমূলের অপরগোষ্ঠীর মধ্যে ওই দিনই তর্কবচশা তৈরি হয়েছিল। সেই তর্ক বচসার জের থেকে বুধবার সকালে শাঁকপুর গ্রামে তৃণমূলের দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে ফের তর্কবচসা এবং হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। গ্রামে বেশ কয়েকটি পরিবারের মধ্যে মারপিট সংঘর্ষে জখম হয়ে যান কয়েকজন গৃহবধূ ও যুবক। তাদের প্রথমে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় কেশপুর হাসপাতালে, পরে সেখান থেকে রেফার করা হয়েছে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। আক্রান্তদের পক্ষ থেকে যুবক নাজমুল হক বলেন-” শিউলি সাহা কেশপুরে এলেই তার অনুগামীদের প্ররোচনা দিয়ে এ ধরনের সংঘর্ষ প্রায় ঘটিয়ে থাকে। আজকেও তাই হয়েছে। বিনা কারণে ওদের লোকজন এসে আমাদের লোকজনদের উপর হামলা করেছে। এক গর্ভবতী গৃহবধূ সহ বেশ কয়েকজন মহিলা আক্রান্ত হয়েছেন। তাদেরকে কেশপুর আনা হয়েছিল পরে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে। পুরো আক্রমণটা ঘটিয়েছে শিউলি সাহা ও ব্লক তৃণমূল সভাপতি প্রদ্যুৎ পাঁজার লোকজন। আমরাও তৃণমূল কর্মী, কিন্তু আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নীতিতে বিশ্বাসী।” অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ব্লক তৃণমূলের সভাপতি প্রদ্যোত পাঁজা। তিনি বলেন-” এর সঙ্গে তৃণমূলের বা দলের কোনো সম্পর্ক নেই। এটা সম্পূর্ণ পারিবারিক ঘটনা। একদল লোকজন মিথ্যা অভিযোগ করে দলের বদনাম করার চেষ্টা করছে। পুলিশকে বিষয়টা দেখার অনুরোধ করেছি।” ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা থাকায় মোতায়েন হয়েছে কেশপুর থানার পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *